মেজর জলিল একমাত্র রাষ্ট্রীয় ‘খেতাবহীন’ সেক্টর কমান্ডার এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন বহুল আলোচিত চরিত্র বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, তিনি স্বাধীনতার আহবানে দেশকে মুক্ত করতে পাকিস্তান বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। একজন মেজরকে পেয়ে বরিশাল অঞ্চলের ইপিআর, পুলিশ, আনসার সহ তরুনরা আশাবাদী হয়ে ওঠে। মেজর জলিলের ভাষণে উদ্দীপিত হয়ে যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কামান্ডার মেজর এম এ জলিলের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেন সেই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের মাত্র ২ সপ্তাহের মাঝে ৯ নং সেক্টরের অধিনায়কসহ ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করা হলো! আটক করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় যশোর সার্কিট হাউজে। মেজর জলিল কে আলাদা করে বাকিদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি ছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জাতি আজও জানে না কেন একজন সেক্টর কমান্ডার হয়েও কোন খেতাব পেলেন না মেজর জলিল? যেখানে অন্যসকল সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সামনে জেনারেল ওসমানী সকল সেক্টর কমান্ডারদের নামের তালিকা জমা দিলেন। কিন্তু সে তালিকায় ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের নামের স্থানে ছিল মেজর জয়নাল আবেদিনের নাম। একজন বীর সৈনিকের বীরত্ব, নিবেদনের কথা পুরোটা জানা হলো না বঙ্গবন্ধুর! মেজর জলিল হয়ে রইলেন একমাত্র খেতাব বিহীন সেক্টর কমান্ডার! স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্ধী হতে হলো পাকিস্তান বাহিনীর মেজর পদের চাকুরীতে ফিরে না গিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা বীর সৈনিককে!
সংগঠনের সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল মাসুমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়কারী মো. মহসিন ভুইয়া, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদুননবী ডাবলু, মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা সাহেদুর রহমান, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তাকিন ভুইয়া, স্বরজিৎ কুমার দ্বিপ, আবুল হোসেন, সীমা আক্তার প্রমুখ।