আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকা থেকে চৈতি নামের ১৫ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
রোববার (৯ফেব্রুয়ারী)রাত ৮টার সময় আকাশ রহমানের ভাড়াটিয়া রিকসা চালক হাসমত আলীর কিশোরী মেয়ে পোশাক শ্রমিক চৈতি(১৫)’র নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় উড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দেখতে পায় ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পুলিশকে খবর দেন এবং আশুলিয়া থানা পুলিশ চৈতি’র ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হাসমত আলী পেশায় রিকসা চালক স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর পল্লীবিদ্যুৎ আরইবি রোড পূর্বপাড়া মহল্লায় দীর্ঘদিন যাবৎ আকাশ রহমানের বাড়ীতে ভাড়া থাকেন। চৈতিও তার বাবা মায়ের সাথেই থাকতেন, ঘটনার দিন রোববার ৯ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় হাসমত আলী ও তার স্ত্রী প্রয়োজনে বাড়ীর বাহিরে যায় এবং মেয়ে চৈতি তার নিজ কর্মস্থল হতে বাসায় ফিরে ও ঘরের দরজা ভিতর হতে আটকিয়ে ফ্যানের সাথে উড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন এবং চৈতি চার ভাইবোনদের মধ্য সবার বড় ছিলেন। সে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত ও চৈতির গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলায় বলে জানাযায়, এবং কি কারনে চৈতি আত্নহত্যা করতে পারে এমন প্রশ্নে উপস্থিত কেউ তাৎক্ষণিক সঠিক কিছু বলতে পারেনি, তবে প্রতিবেশী অনেকের ধারণা বাবা মায়ের সাথে অভিমান করেই চৈতি আত্নহত্যা করতে পারে বলে জানান।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শন আব্দুস সালাম বলেনঃ আমরা চৈতির মৃতদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হবে।