আসন্ন সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক প্রত্যাশী হিসেবে জানান দিচ্ছেন ক্লিন ইমেজ সম্পন্ন জনপ্রিয় প্রার্থী এ্যাড. জাহিদ খান উজ্জল। সোমবার এ্যাড. জাহিদ তার এক একান্ত স্বাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।সম্প্রতি সময়ে তিনি উপজেলা আ’লীগের বিগত দিনে দলের জন্য ত্যাগ ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সভা-সমাবেশ সম্বলিত বহু পোষ্ট করছেন তার ফেসবুকে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকায় তার অনুসারিরা আ’লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতা এ্যাড. জাহিদের প্রচারণা চালাচ্ছে দেদারছে। সিংগাইরের আ’লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ্যাড. জাহিদের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। একই পদে দীর্ঘ ১০ বছর কাটালেও নেই তার বিরুদ্ধে মাদককারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা, নেই কোন জুলুম অত্যাচার ও দুর্নীতির অভিযোগ। অনেকটা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্বের অধিকারি হওয়াতে তিনি আ’লীগের আসন্ন কাউন্সিলে নির্দ্বিধায় শক্তিশালী প্রার্থী। তবুও যদি গ্রুপিং রাজনীতির অবক্ষয় দ্বরূন ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা হয় তবে হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরবেন তার কর্মী সমর্থকরা। আর যদি তা না হয় তবে তিনিই পাবেন কাঙ্খিত পদ মর্যাদা এমনটাই আশা ব্যাক্ত করছেন তার অনুসারিরা।
এ্যাড. জাহিদ রাজনীতিতে জড়ান ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। এরপর তিনি ১৯৯২ সালে সিংগাইর ডিগ্রী (তৎকালিন) কলেজের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৫ সালে তিনি একই কলেজে বিপুল ভোটের মাধ্যমে এককভাবে ভিপি নির্বাচিত হন। এসময় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মারধরের শিকার হন বহুবার। সেই সাথে মামলা তো আছেই। তাকে একদিন মারতে মারতে কলেজের দ্বিতলা ভবন থেকে ফেলে দেয়া হয় হাতুড়ি পেটা করে। তবুও থেমে থাকেনি তার রাজনৈতিক জীবন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে চলতে থাকেন কাঁটা বিছানো পথে। ঐ সময়েই তিনি পায়ে হেঁটে আবার কখনো বাইসাইকেল যোগে সিংগাইরের প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বৃত্তান্ত বলে তাদের সাহস যোগিয়ে ইউনিয়ন কমিটি করে ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী ভিতে পরিণত করেন।
তৎকালিন সময়ে আ’লীগের নাম নেয়ার মত এখনকার মত এত নেতা ছিলেন না। এরপর তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের জেলা কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হন। অতপর তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে যোগদেন এবং ২০০৩ সালে জেলা যুবলীগের সদস্য হন। পুনরায় ২০০৪ সালে তিনি সিংগাইর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। অন্যদিকে সামাজিক সংগঠন বন্ধু সভা ৯০’এর সভাপতি পদে আছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও অন্যন্য তিনি। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স ও আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি মানিকগঞ্জ কোর্টে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। এ্যাড. জাহিদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে এক পা ও নড়চড় হবনা কোনদিন। সংশ্লিষ্টরা যদি মনে করেন আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যোগ্য তবে আমাকে দেবেন আর মনে না করলে দেবেন না। পদ পাই আর না পাই আজীবন আ’লীগের রাজনীতি করে যাব।
আমাদের খবর / মিজানুর রহমান