আশুলিয়ায় এক রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী যুবলীগের এক কর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসআই একরামুল হকের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে আশুলিয়ার চিত্রাশাইল এলাকায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী শরিফের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
মামলার বাদী আমির হোসেনের অভিযোগ, গত ১২ জানুয়ারী সন্ধ্যার দিকে চিত্রাশাইল এলাকায় তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে ছেলে আবুল কাশেম এক আত্মিয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিবেশী ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শরিফ ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমসহ ১০/১২ জন তার তার ছেলের উপর হামলা চালায়। এসময় তার ছেলেকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এতদিন আসামিরা পলাতক ছিলো। বুধবার সকালে এসআই একরামুল হক ওই মামলারে প্রধান আসামীর বাড়িতে তাকে ধরতে অভিযান চালায়। পরে আসামি শরিফকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন এসআই। এসময় তার ছেলে আবুল কাশেমও পুলিশের সঙ্গে ছিলো। পরে এসআই তার ছেলেকে কৌশলে বের করে দিয়ে আসামিকে শরীফকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনার ভুক্তোভোগী আমির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ যখন অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে তখন তিনি এসআই একরামুল হকের সাথেই ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। যুবলীগ নেতাকে আটকের পর এসআই মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে সরিয়ে দেয়।
পরে তিনি এসআইয়ের কথামতো বাড়ি থেকে তার বাবা ও স্বাক্ষীদের ডেকে নিয়ে আসেন। তবে তৎক্ষনে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আটককৃত যুবলীগ নেতাকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। আসামীকে ছাড়ার জন্যই মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে কৌশলে সড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপ পরদির্শক (এসআই) একরামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রধান আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সকালে বাদীর সহযোগীতায় প্রধান আসামীর বাড়িতে অভিযান চালানোর কথাটি স্বীকার করেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, এ ধরনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
সুত্র/ মানবকণ্ঠ