অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ফুঁসে উঠেছিলো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়েছিল ঢাকার রাজপথ; উর্দু নয়, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। সেই মিছিলে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসকরা। সেই হামলায় শহীদ হন সালাম, বরকত, জব্বাররা। এই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতিবছরের এই দিনে পালিত হয় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। এবছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ২১শে ফেব্রুয়ারি।
বাঙালি জাতির এই বিশেষ দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবসের মর্যাদা দেয়ার প্রচেষ্টা শুরু নব্বই দশকের শেষ দিকে। ১৯৯৮ সালে রফিকুল ইসলাম আর আবদুস সালাম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করার জন্য জাতিসংঘে আবেদন জানান। সেই সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব ছিলেন কফি আনান। তিনি দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবসের মর্যাদা দেন।
এরপর থেকে গোটা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে আজকের দিনটাকে। তবে বাংলাদেশের কাছে আজ শোক দিবসও বটে। গর্বের দিন, মন খারাপের দিন। যে আবেগে সামিল ওপার বাংলা তথা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষও। আজ দুই বাংলার উদযাপনের দিন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার কলকাতার সল্টলেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শহীদ স্মারকে শ্রদ্ধা জানান সঙ্গীত শিল্পী প্রতূল মুখোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যরা। প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, পুজোর মতো ২১ ফ্রেব্রুয়ারি একদিন পালন করেই ভাষাকে সম্মান জানানো হয় না। মাতৃভাষার যথাযথ ব্যবহারও প্রয়োজন।
সূত্র: জি ২৪ ঘণ্টা