অনলাইন ডেস্ক
বাঙ্গালি যখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তখনই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ৫২’র একুশের চেতনায় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য এখনই প্রয়োজন।তিনি বলেন, ১৯৫২’র চেতনাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল গুলোকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে করে সেই স্বপ্নের অপমৃত্যু কোনোভাবেই না ঘটে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি/৮ফাল্গুন) মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাঙালি যখন রুখে দাঁড়িয়েছে, তখন কেউ তার গতি রোধ করতে পারেনি। সেই দীপ্ত চেতনাকে সামনে রেখে আজ জাতিকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে দেশের বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। অন্যথায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের কুশীলবরা দেশকে অশান্ত করার পথ খুঁজতে পারে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ১৯৫২’র চেতনা সকল সময়ই দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রেরনা যোগায়। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি পরতে পরতে অপরাজনৈতিক শক্তি সুকৌশলে এ চেতনার মূলে আঘাত দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এদেশীয় দোসররা মানুষকে বার বার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদুননবী ডাবলু, মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু প্রমুখ।