অনলাইন সংস্করণ:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ না আদায় করতে বলেছে সরকার। এ ব্যাপারে সরকার কিছু নির্দেশনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোনো বাধা থাকবে না বলে ঘোষণা দেয়। তবে আজ তিনি তার আগের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেন।ভিডিও বার্তায় বলেন, সরকারের নির্দেশনাই মানা হবে। সরকার ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনেই মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরেই গাজীপুরের অবস্থান। আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে আজ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেয়া তথ্যমতে, গাজীপুরে ৩২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।ইতিমধ্যে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকার জানায়, ঈমাম-মোয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। এছাড়া রোজায় তারাবির জামাতে ১২ জন এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে।
তবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণার পরই নানা দিক থেকে সমালোচনা আসতে থাকায় আজ বুধবার তার বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন তিনি।তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, মসজিদ খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। তিনি তার গতকালের দেয়া বক্তব্যের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলেও জানান।
গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকিগুলো পাশের উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছে। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লিদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোন বাধা থাকবে না।’