অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আরো দুই হাজার ৮৮৪ কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুদফায় ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই হাজার ৩২৯ জনকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে জেলারদের কাছে গতকাল শুক্রবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারা অধিদপ্তরের এআইজি মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘প্রথম দুদফায় আমরা ৫৫৫ কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছি। চূড়ান্ত ধাপে, অর্থাৎ আগামী সোমবারের ভেতরে দুই হাজার ৩২৯ কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তি দেওয়ার জন্য যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেসব কাজ প্রায় শেষ। কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি অফিসের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হবে এমন কারাবন্দিদের তালিকা দেশের ৬৮টি কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
মঞ্জুর হোসেন আরো বলেন, ‘দেশের ১৩টি সেন্ট্রাল জেল ও ৫৫টি জেলা কারাগারের জেলারদের কাছে গতকালই এই তালিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলাররা কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার কাজও এগিয়ে নিচ্ছেন। এ দুই হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে কিছু কয়েদিকে এরই মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা আগামী দুদিনের মধ্যে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তবে যাদের জরিমানার টাকা বাকি, তাদের ছাড়তে একটু দেরি হতে পারে। আর জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তারাও দুদিনের মধ্যে মুক্তি পাবে।’
কারা অধিদপ্তরের এআইজি আরো বলেন, ‘এ দুই হাজার ৩২৯ কারাবন্দির মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৭, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৫৪, সিলেট বিভাগের ৬৯, খুলনা বিভাগের ১৫৮, বরিশাল বিভাগের ৯৭, রাজশাহী বিভাগের ৪২৩ ও রংপুর বিভাগের ১৯৮ জনকে মুক্তি দেওয়ার চিঠি এরই মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ৪ মে সোমবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মোট দুই হাজার ৮৮৪ জন লঘু দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ভেতরে ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এসব বন্দি সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের মধ্যে কারো সাজা প্রায় শেষের দিকে, কারো সাজা অর্ধেক হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, কারাগার ফাঁকা হোক, লঘু অপরাধী বয়স্করা মুক্তি পাক। এখন কারাগার যত ফাঁকা হবে, তত ভালো।’