এম শাহীন আলম :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকসীমূল ইউনিয়নের আজ্ঞাপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাএী এক কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার হওয়ার মাএ কয়েক মাসের মধ্যে জামিনে এসেই মামলা তোলে না নিলে প্রকাশ্যে ধর্ষিতাকে এসিড মেরে জ্বালিয়ে দেয়াসহ মামলার বাদী এরশাদ মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে,।
এই মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানা যায়, সরেজমিন জানা যায় উপরে উল্লেখিত উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে গত ০২ অক্টোবর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বিকাল ৪টার দিকে (গাভীর)দুধ বেপারী মোঃ এরশাদ মিয়ার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া (ছন্দনাম জর্ণা আক্তার ১৪)মেয়েকে একেই গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ আল মাহমুদ (২৩),আলী হোসেনের ছেলে মোঃ মীর হোসেন(২০),রফিজ মিয়ার ছেলে মোঃ সামদানী(২৫) তাদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ধর্ষিতার ঘরে ঢুকে দিবালোকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে,ধর্ষিতার চিৎকার শোনে বাড়ীর আশপাশ লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়, পরদিন ৩ অক্টোবর২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ধর্ষিতার বাবা এরশাদ মিয়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ মামলা করেন, (মামলা নং জি আর -৩৫৯/১৯ বুড়িচং থানায় মামলা নং-২),জানা যায় ঘটনাটি ঘটানোর পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল।
বুড়িচং থানার পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা এবং সাহসিকতার সহিত মামলার ১নং আসামী মোঃ আল মাহমুদ কে গ্রেপ্তার গত ১৬ ফেব্রুয়ারী-২০২০ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ্দ করা হয় এবং মাএ কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশ্যে ধর্ষণকারী জামিনে আসাতেই এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ ও জনমনে ক্ষোভ প্রকাশ চলছে,অনেকেই আইনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে,আজ্ঞাপুরসহ আশপাশ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন লোক সংবাদ মাধ্যমকে জানান প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে ধর্ষণকারী কিভাবে এত তাড়াতাড়ি জামিনে আসে আবার এসে ধর্ষিতাকে এসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে এবং পরিবারকে মামলা তোলে না নিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো জানান এরশাদ মিয়া একজন নিরহ সহজ সরল লোক তার মেয়ের মতো যেন কোন মেয়ের ইজ্জত হারাতে না হয় এবং আগামীতে যেন এমন ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস না পায়,। তার জন্য এই ধর্ষণের সাথে জরিত প্রত্যেকটি আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান,এদিকে মামলাটির বাদী মোঃ এরশাদ মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান আমি গরীব মানুষ গাভীর দুধ বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালাই আমার মেয়েকে যারা শ্লীলতাহানি(ধর্ষণ)করেছে তারা এখন জামিনে এসে ধর্ষণকারী এবং তার চাচারা আমার বাড়ীতে এসে প্রকাশ্যে আমার মেয়েকে এসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে এবং মামলা না তোলে নিলে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি সহ আমার মেয়ের নামে লোকজনের কাছে খারাপ কথা বলেই যাচ্ছে। তিনি জানান আমি এবং আমার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য বুড়িচং থানায় ১০ জুন ২০২০ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ ডায়েরী করেছি (ডায়েরী নং ৩৪২/২০২০ ) এরশাদ মিয়া বলেন আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হরণকারী(ধর্ষণকারী) দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি,।