রাজধানী ঢাকায় অন্তত সাত বছরের মধ্যে তাপমাত্রার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে থার্মোমিটারের পারদ প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। এছাড়া গত সাত বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যশোরে পারদ উঠল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার (২৫ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, আজ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে, ৪১ দশদিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজকের আগে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২০ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া ১৯ ও ২৪ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। হাফিজুর রহমান আরও বলেন, তাপপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন থাকতে পারে। তাতে আরও কিছু তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বারবার তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপমাত্রা তীব্র হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দাবদাহ বয়ে যাওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া এবং খুলনা অঞ্চল। নেত্রকোনা জেলা এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ে শুরুতে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৩, ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫, ঢাকায় ৩৯ দশমিক ৫, রাঙ্গামাটিতে ৩৯ দশমিক ৬, মোংলায় ৩৯ দশমিক ৬, খুলনায় ৪০ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৫, কুমারখালীতে ৪০, খেুপপাড়ায় ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসসহ একাধিক এলাকায় ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।