আশুলিয়ার চলন্ত বাসে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চালক সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকী ৫ আসামির প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২৯ মে) বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে (আদালত নং-২) রিমান্ড শুনানি শেষে আসামি ৫ জনকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে দুপুরে প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ ভ্যানে করে ৬ আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আশুলিয়া থেকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদের মধ্যে চালক সুমন নামের আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়। শুনানি শেষে অপর ৫ আসামির প্রত্যেককে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতো।
প্রসঙ্গত, গত (২৮ মে) মধ্য রাতে আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে ও নিউ গ্রাম বাংলা মিনিবাসটি জব্দ করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আসামিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।