তাসানুল হক শাহজাহানঃ
জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের মিতালী ক্লাব পড়ার তোফাজ্জল হোসেন (৮০) প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও মেলেনি তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও স্বীকৃতি কিন্তু কেন।
জানা গেছে,তার পিতৃ জন্মস্থান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার দক্ষিণ পাড়া।তিনি মৃত রুস্তম আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেনের(৮০)।শৈলকুপা ছেড়ে তিনি যুদ্ধের কয়েকবছর পরে তার স্ত্রীর শাহিদা খাতুন সাথে তার স্ত্রীর নিজ গ্রামে এসে এক পুত্রসন্তান ও ৬ কন্যা সন্তান নিয়ে জীবননগর উপজেলা সেনেরহুদা গ্রামে বসবাস শুরু করে।
খেয়ে না খেয়ে ৬ কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে খুব সাধারণভাবে দিনমজুরির কাজ করে তাদেরকে লালন পালন করেন। তার মধ্যে দিয়েও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা দ্বারস্থ হয়েছেন এর জন্য গুনতে হয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা তার পরেও মেলেনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সম্মান।
তিনি তার কমান্ডার মোঃ মনোয়ার মালতে (৮৫)আরো আছেন, মোঃ শাহাদত মাস্টার (৬৭), জোহর আলী মন্ডল (৭৭), তোয়াজ আলী (৭০) সকলের সাথে একাত্তরের যুদ্ধে অংশগ্রহণে থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের খাতায় উঠে নিয়ে তার নাম।
যুদ্ধের সহকর্মীরা সকলে এখনো ভালবাসেন স্বীকার করেন তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আমাদের সাথেই তোফাজ্জল হোসেন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবং তোফাজ্জেল হোসেন দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন যাপন করে দূরত্বটা টাকা পয়সার অভাবের কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করছেন।
শৈলকুপার সকলেই জানেন তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু তার শৈলকুপা ছেড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আসাতে তাকে কেউ মনেই রাখেনি। বর্তমান ঘুষ না দিলে কোন কিছুই হয় না একথা সকলেই জানে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং আমাদের জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ যে তোফাজ্জেল হোসেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির কারণে সময় স্বল্পতা ও দূরত্বের কারণে তিনি স্বীকৃতির না পাওয়ায় তাকে পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তাকে প্রকৃত যোদ্ধার সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি মাননীয় সরকারের কাছে।
তিনি এখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনে তিনি যেখানেই থাক না কেন বঙ্গবন্ধুর কন্যার নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য তিনি ছুটে আসেন দূরদূরান্ত থেকে।