মিজানুর রহমান, সিংগাইর :
টানা ১ যুগ খেলেছি ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রিকেট পাড়ার বড় দলে । ইচ্ছা ছিল বিকেএসপি তে ভর্তি হয়ে এক সময় দেশের জাতীয় দলে খেলব । কিন্তু বাবা মারা গেলে সে আশা অপূর্ণ থেকে পরিবারের চাপ পড়ল নিজের কাঁধে । কি করব ? ভেবে না পেয়ে এক সময় শুরু করলাম স্বল্প পরিসরে চাষাবাদ । যদিও পেশাটা আমার কাছে অন্য দশটা পেশার থেকে বেশি মূল্যবান ।
বাবার রেখে যাওয়া কয়েক বিঘা জমিসহ আরো কয়েক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে শুরু করি চাষাবাদ । দ্বিতীয় বছরেই মাশাল্লা ভাল লাভের মুখ দেখাতে আগ্রহ বেড়ে যায় দ্বিগুন । পরের বছর প্রায় ৪ বিঘা জমিতে শুরু করি চাষাবাদ বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় লাভ গুনেছি বেশ । এখন চাষাবাদই আমার সব, সারাক্ষণই ক্ষেতে পড়ে থাকি আর বাড়িতে শুধু নিয়ম মেনে আসা যাওয়া করি ।
এ বছর প্রায় ৪ বিঘা জমিতে করেছি লাউয়ের চাষ এবং দেড় বিঘা জমিতে করেছি পেপে চাষ । ফলন ভালো হয়েছে আল হামদুলিল্লাহ । বাজারে দামও পাওয়া যাচ্ছে বেশ ।
এ কথা গুলো দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক সকালের সময় এর সিংগাইর প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের স্বাক্ষাৎকারে বলছেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের মৃত আলতাফ খানের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৩৫) ।
সানোয়ার বলেন, এ বছর প্রায় ৪ বিঘা জমিতে করেছি লাউয়ের চাষ এবং দেড় বিঘা জমিতে করেছি পেপের চাষ । বাজারে প্রতিটি লাউ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা এবং পেপে পাইকারি ১০-১৫ টাকা এবং খুচরা ১৫-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি । পরের বছর জমির পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান ।