টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১২ নং মাহমুদ নগর ইউনিয়নের ধুলচর গ্রামের ৩নং ওয়াডের্র সাবেক মেম্বার মোঃ লেবু মিয়ার বিরুদ্ধে আব্দুল মজিদ ও তার পরিবারকে অত্যাচার করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে মামলা হওয়ায়, ইতিমধ্যেই একজন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেম্বার লেবু মিয়া সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায়, ভয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল মজিদ কর্তৃক টাঙ্গাইল সদর থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১ জুলাই দুপুরে কাগমারি এলাকায় আব্দুল মজিদ জমি ক্রয়ের ২ লক্ষ টাকা বায়না দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামুদনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ লেবু মিয়ার নেতৃত্বে আবুল কালাম, সোহাগ মিয়া, জহিরুল ইসলাম পিতা –সাত্তার প্রামানিক, আরিফুল ইসলাম পিতা লেবু মিয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার গতিরোধ করে এবং মেরে ফেলার উদ্যেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় সেখান থেকে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ মিয়া বলেল, আমি একজন নিরীহ প্রকৃতির লোক। আমি ১২ নং মাহমুদ নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের গ্রাম কমিটির সভাপতি। আমি এবং আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে লালন করি। আমার পরিবারের উপর অত্যাচারকারী মোঃ লেবু মিয়া ও তার ভাই জামায়েত শিবির সমর্থক।
সে তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর আক্রমন করে ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।অত্র হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১২ নং মাহমুদ নগর ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, মোঃ লেবু মিয়া তার লোকদের নিয়ে আবদুল মজিদের উপর হামলা চালানোর বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রকৃত পক্ষে লেবু মিয়া একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান তিনি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি। ইতিপূর্বে আমরা তাদের বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেছি।
নাম প্রকাশে অনইচ্চক এক ব্যাক্তি বলেন সাবেক মেম্বার লেবু মিয়া উগ্র ও গোয়ার প্রকৃতির লোক। তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী আছে সে কারো কথা মানে না।
এ ব্যাপারে মাহমুদ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই মামলার আসামি লেবু মিয়ার মন্তব্য জানার জন্য ওই এলাকায় গিয়ে সে সময় তাকে তার বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার উপ- পরিদর্শক মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।