মিজানুর রহমান
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে অটোরিকশা চালক শরিফ হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) সকালে লাশ উদ্ধারের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার আজিমপুর মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত ইমান ফকিরের ছেলে মোঃ বাতেন ফকির (২৬), পূর্ব ভাকুম গ্রামের মৃত কোহিনুর বিশ্বাসের ছেলে ছমেদ বিশ্বাস (২৬), আজিমপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলী ওরফে সাক্কুর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৪০) ও পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার খড়ার চর গ্রামের বরকত আলীর মেয়ে নাসরিন (৩৫)।
তাদের রিমাণ্ড চেয়ে বুধবার (২৫ আগষ্ট) বিকাল ৩ টার দিকে আদালাতে পাঠানো হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২১ আগষ্ট) সিঙ্গাইর পৌরসভার মধ্য সিঙ্গাইর (পুকুর পাড়া) মহল্লার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফ হোসেন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পৌর এলাকার আজিমপুর গ্রামের হানিফ কোম্পানীর খালি ভিটায় জঙ্গলের ভিতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় এদিন রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত শরিফ হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন ওরফে সাথি।
এদিকে অটোরিকশা চালক শরিফ হোসেনের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের দিক নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেফতার করতে মাঠে নামে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা ও ওসি তদন্ত শেখ মোঃ আবু হানিফসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গুপ্তচর নিয়োগ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে আদালাতে পাঠানো হয়েছে। রিমাণ্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যাকাণ্ডের মুল রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের নাম পরিচয় বেড়িয়ে আসবে।