শফিকুল ইসলাম
আশুলিয়ার ভাদাইলে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সহিদুল খা (৪৫) নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার ৪ সেব্টামবার আশুলিয়ার ভাদাইল মধ্যে পাড়া রউফ ভূইয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ শফিকুল ইসলামে মেয়ে সানজিদা (৭) কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পাশের বাসা সিরাজের বাড়ি ভাড়াটিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার ঝিলনগর গ্রামের মূত অহেদ খার ছেলে সহিদুল খা কে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
জানান যায় গাইবান্ধা জেলার ফুলাছড়ি থানার চরকূঞ্চমনি গ্রামের শফিকুল ইসলাম আশুলিয়ার ভাদাইল মধ্যে পাড়া রউফ ভুইয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া।সে গার্মেন্টসের চাকরির সুবাদে স্বামী স্তী নিয়ে দির্ঘদিন দরে এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
কোরনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় সানজিদা ( ৭) বাসায় থাকত। নিত্য দিনের মত ৩০ আগষ্ট২০২১ ইং শফিকুল ইসলাম ও স্তী তাদের সন্তানদের কে বাসায় রেখে কর্মস্থলে চলে যায়।শিশু সানজিদা বাসার আশ পাশে খেলা ধুলা করে।
৩০ আগষ্ট দিন সন্ধ্যা অনুমান ৬ টার সময় সহিদুল শিশু সানজিদা (৭) কে তাহার বাসার সামনে পেয়ে মজা কিনে দেওেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সহিদুল তাহার রুমের ভিতরে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
সহিদুল একই ভাবে পর পর দুইদিন শিশু সানজিদাকে তাহার রুমের ভিতরে নিয়ে যায়, আদরের ছলে পরিহিত হাফ প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
বিষটি প্রতিবেশী লামিয়া (১২) দেখে ফেলার কারনে সহিদুল তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাইয়া কাউকে ঘটনা জানাইতে নিষেধ করে।
লামিয়া ৪ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৮টার সময় সানজিদার মাকে সহিদুল কর্তৃক ধর্ষনের চেষ্টা ঘটনা জানায়।উক্ত লামিয়া দেখে ফেলার কারনে সহিদুল সানজিদাকে ধর্ষন করিতে ব্যর্থ হয় ।
পরে সানজিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে বলে সহিদুল তাহাকে মজা খাওয়ার কথা বলিয়া রুমে নিয়া প্যান্ট খুলে যৌনাঙ্গে হাত দিয়াছে।
সানজিদা মা বলেন, এই ঘটনা জানা জানি হইলে আমি আমার স্বামীকে সহ বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়া লোকজনদের অবগত করিয়া লোকজন সহ গিয়া সহিদুলকে তাহার ভাড়াটিয়া বাসায় পাইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে আমার মেয়েকে নষ্ট করার চেষ্টা করিয়াছিল বলিয়া স্বীকার করে ।
আমার শিশু মেয়ে ভয়ে ঘটনা আগে কাউকে জানায় নাই । ঘটনার বিস্তারিত শুনে আত্বীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করিয়া থানায় জানিয়া অভিযোগ দায়েল করি।
অভিযোগ দায়ের পর আশুলিয়া থানা পুলিশ সহিদুল খাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।