বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় সহিংসতা, অনিয়ম, গোলযোগ, বর্জন ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার দুটি কেন্দ্রে দুজনের প্রাণহানি ছাড়া অন্যত্র নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, ‘যেসব তথ্য পেয়েছি, আমরা মনে করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিছু প্রার্থী ও সমর্থক খুবই ইমোশনাল হয়ে যান। তাদের কারণে সংঘর্ষ ঘটে।
মহেশখালীতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কুতুবদিয়ায় দুষ্কৃতকারীরা ব্যালট ছিনতাই করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভোট চলাকালে নিহত দুজন হলেন—কুতুবদিয়ার আবদুল হালিম ও মহেশখালীর আবুল কালাম।’
তিনি জানান, ইউপি নির্বাচনে ইভিএমে অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। পৌরসভায় ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে যেসব জায়গায় ভোট হয়েছে, সেখানে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে ঘরে ঘরে নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থী যারা আছেন তারা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যান, নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে অকস্মাৎ নিজেদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।’