যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের বেতনের বিলসিটের কাগজপত্র ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল ১৪ জুলাই রবিবার দপুরের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনাটি ঘটে।
কলেজ সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাদুর চর ডিগ্রি কলেজের সকল জেনারেল শাখার শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ জুন মাস ২০২৪ ইং বিলসিটে স্বাক্ষর করে চলে যান। কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকায় ওই কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হাসেন আলী (এমএলএসএস) কম্পিউটার ল্যাব ষ্টোর আতিকুর রহমান ও আয়া মাসুদা খাতুন অফিসিয়ালি সকল কাগজপত্র কোর্ট ফাইলে রাখতে ছিলেন। কলেজের সকল শিক্ষক চলে যাওয়ার পর ওৎ পেতে থাকা ওই কলেজের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসির ছেলে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ কলেজের অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন এবং উপস্থিত কর্মচারীরা কিছু বুঝে উঠার আগেই শিক্ষকদের বিলসিটের কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে বাহিরে চলে যান।
যাদুর চর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে উভয় পক্ষের একাধীক অভিযোগও রয়েছে। এমন ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এবিষয়ে কলেজের (এমএলএসএস) হাসেন আলী বলেন, কলেজের জেনারেল শাখার প্রায় সবগুলি শিক্ষকই বিল সিটে সহি করে চলে গেছে। আমরা ৩ জন কর্মচারি বিলসিটসহ অন্যান্য কাগজ পাতি ফাইলজাত করে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ করে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসির ছেলে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ কলেজে প্রবেশ করে টেবিলে রাখা বিলসিট থেকে অর্ধেক বিলসিট ও ৩০০ টাকা দামের স্ট্যাম্প নিতে ছিল। আমরা বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে কাগজ গুলি নিয়ে চলে যায়। পরে তৎক্ষনাত অধ্যক্ষ স্যারকে জানাই।
অভিযুক্ত মুরাদুল ইসলাম মুরাদ শিক্ষকদের বিলসিটের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বাবা যাদুর চর কলেজের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা হওয়া সত্বেও তাকে কলেজ থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসার চেষ্টা করেও কোন সমাধান হয়নি। ফলে আমি রেগে ক্ষোভে এ কাজ করেছি।
যাদুর চর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, আমার অনুপস্থিতিতে সুযোগ বুঝে মুরাদুল ইসলাম কলেজের অফিসকক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক বিভিন্ন কাগজগত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এটা দুঃখ্যজনক ঘটনা। আমি ঢাকা থাকায় আইনের আশ্রয় নিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে রৌমারী এসেই আইনের আশ্রয় নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, এবিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।