সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক শ্রমিকের তথ্যসূত্রে জানা যায়, দুর্নীতিবাজ বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের ম্যানেজার খলিলুর রহমান প্রতিষ্ঠানের গাইড লাইনের ক্রয় নীতি ভঙ্গ করে করে ফিড মুরগি ও ঔষধ ক্রয় করার সাথে জড়িত রয়েছেন। শ্রমিকেরা বলেন, তিনি নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছু চিন্তা করেন না। শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ সহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শ্রমিক আমাদেরকে জানান, ম্যানেজার খলিলুর রহমান একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
এখন তাদের চুক্তিভিত্তিক চাকুরীর শেষ হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা দাবি করেন, একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারে না। গত ৫ আগস্ট এর পূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে সবসময় ম্যানেজ করে চলতেন, ফার্মের উৎপাদিত দুধ, ডিম মুরগির মাংস ফলমূল শাক-সবজি বিনামূল্যে অনেক কে খুশি রাখার জন্য অবৈধ পন্থায় দিয়েছেন। কৃষি শ্রমিকদের নিয়ে যেতেন অনেক কর্মকর্তাদের বাসায় নিয়ে সবজি ফলমুল চাষাবাদ করে দিয়ে আসতেন। আফজাল ও ফরিদ এই কাজে সর্বদা সহযোগিতা ও নিয়োজিত থাকতেন।
আরো একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী তাহার নামে আগে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছেন। এবং তিনি একজন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা,বর্তমানে মোহাম্মদ আলী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ, উত্তেজনা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকেরা তাদের বিচার দাবি করেন এবং শ্রমিকরা অবিলম্বে যাদের চুক্তিভিত্তক নিয়োগে কর্মরত আছে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার জোর দাবি জানান ও নতুন করে কোন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়ার জন্য দাবি জানান শ্রমিকরা। অন্যতায় প্রতিষ্ঠানে অর্নিদৃষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
এই বিষয়ে খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে জানান,এই দুর্নীতির সাথে আমি জড়িত নয়। এবং মোহাম্মদ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।