চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে তার শাস্তি সম্পর্কে কথা বলেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মো. সোহেল। আইনজীবী সোহেল জানিয়েছেন, পরীমণির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে এবং বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। তিনি বলেন, যদি আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে পরীমণি সর্বোচ্চ ৩ বছর সাজা পেতে পারেন।
আইনজীবী সোহেল আরও বলেন, ৩২৩ ধারার সেচ্ছায় আঘাত করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে নায়িকা সর্বোচ্চ ১ বছরের সাজা পেতে পারেন, আর যদি অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন প্রমাণিত হয়, তবে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা হতে পারে। তবে আদালত শাস্তি কমাতে পারেন, তবে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তিই চাইবো।
এছাড়া, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরীমণি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী সোহেল আদালতে পরীমণির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি এবং তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন এবং নানা ক্লাবে গিয়ে পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে চলে আসেন।
পরবর্তী সময়ে, এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে, ২০২১ সালের ১৪ জুন পরীমণি সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন, যার মধ্যে বাদী নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও আরও ৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ছিলেন। তবে পুলিশ তদন্তে ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি।
এ ঘটনায় নায়িকার ভবিষ্যত সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহী, এবং পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়া কী ধরনের পরিণতি নিয়ে আসবে, তা নিয়ে আইনজীবীরা মন্তব্য করেছেন।