ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালেও এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
সকালে ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাত থেকে চলা কর্মসূচি কিছু সময়ের বিরতি দিয়ে আবারও চলছে। শত শত মানুষে এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছেন ।
সকালে ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাত থেকে চলা কর্মসূচি কিছু সময়ের বিরতি দিয়ে আবারও চলছে। শত শত মানুষে এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছেন ।
এরপর রাত ১১টার দিকে বাড়িটির সামনে আনা হয় ক্রেন এবং রাত সোয়া ১১টার দিক থেকে বাড়িটি ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়। এতে কাজ না হওয়ায় আনা হয় এক্সকেভেটর।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের ছয় মাস ছিল গতকাল। এদিন রাত ৯টায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল দিনভরই স্যোশাল মিডিয়ায় উত্তেজনা চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।
গতকাল রাত আটটার দিকে বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। তারা বাড়ির সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করেন। এর পর থেকেই সেখানে ভাঙচুর চলছে।
গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি।
সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ (বুধবার) রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমিমুক্ত হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।