ঢাকার মধ্য বাড্ডার ১৫৮/ট বাসায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, দিনে-দুপুরে বাসার তালা ও হ্যাজবল (হ্যাজবোল্ট) সুকৌশলে ভেঙ্গে যে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয় তার অভিযোগে শাহীনুরকে গ্রেফতার দেখায় বাড্ডা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, শাহিনুর নামে ঐ মহিলা গত ৯ ফেব্রুয়ারি মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এর এক বাসায় চুরি করতে গেলে জনসাধারণ তাকে ধরে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ মধ্য বাড্ডার ১৫৮/ট এর বাসিন্দা মিসেস রঞ্জু আরা কে খবর দেয় এবং ভিডিও ফুটেজ এর মাধ্যমে পুলিশ, এই শাহীনুর কে শনাক্ত করে। পরের দিন অর্থাৎ গত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, তাকে ঢাকার কোর্টে চালান দিলে আদালত, শাহীনুর কে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। দুইদিন রিমান্ড থাকাকালীন সময়ে ঐ মহিলা মধ্য বাড্ডার ১৫৮/ট ঐ বাসায় গিয়েছে এবং স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার কোথায় রেখেছে তা পুলিশ ওই মহিলার কাছ থেকে জানতে অসমর্থিত হয়েছে। এই মহিলা শুধু বলে, সবুজ নামে এক ব্যক্তির কাছে এ চুরিকৃত মালামাল রেখেছে। কিন্তু ঐ সবুজ নামক ব্যক্তির বাসা বা কোথাকার বাসিন্দা তা পুলিশ তার মুখ থেকে বের করতে পারেনি। প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশের এ ধরনের ব্যর্থতা কীসের ইঙ্গিত বহন করে।
শাহীনুর তার ঠিকানা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে। তাছাড়া এই মহিলার প্রকৃত নাম শাহীনুর কিনা তাও সন্দেহ রয়েছে।
বাড্ডা থানার এস আই সুমন দৈনিক আমাদের খবরের প্রতিবেদকে বলেন চোর শাহিনুর চুরিকরেছে আমাদের কাছে শিকার করেছে, তার সহযোগী সবুজকে আমরা খুজতেছি তাকে পেলেই সব বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ থাকে যে ভুক্তভোগী চুরি সংঘটিত হওয়ার সময় স্থানীয় হাসপাতালে গিয়েছিলেন তার ৫ মাসের নাতিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য। প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্য এ চুরি সংঘটিত হয়।