যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
এনবিআর দ্রুততম সময়ে শুল্কহার যৌক্তিক করার বিভিন্ন বিকল্প খুঁজে বের করবে, যা বিষয়টি সমাধানে অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে পোস্টে তিনি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মার্কিন সরকারের সঙ্গে আমাদের চলমান কাজ শুল্ক ইস্যু সমাধানে সহায়তা করবে আশা করছি।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ ‘হ্রাসকৃত সম্পূরক শুল্ক’ আরোপ করা হবে। এতদিন এ শুল্কের হার গড়ে ১৫ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার। নতুন করে উচ্চ মাত্রায় এ শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রফতানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।