মাইনুল ইসলামঃ
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রঘুনাথপুর মঙ্গলবাড়ি এলাকায় এক ভয়াবহ অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণ, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার শিসা লুটের অভিযোগ করেন শিসা ব্যবসায়ী মোঃ শাহাজ উদ্দিন খবু,আজ সোমবার (২৬ মে) নিজ গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার আজগানা গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ধামরাইয়ের রঘুনাথপুর মঙ্গলবাড়ি এলাকার গোডাউনে হঠাৎ করে হামলা চালায় মোঃ মাহবুবুর রহমান মিন্টু ও তার সহযোগীরা। তারা শাহাজ উদ্দিন খবু ও তার কর্মচারী মোঃ রেজাউলকে জোরপূর্বক অপহরণ করে মিন্টুর বাড়িতে তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
ভুক্তভোগী শাহাজ উদ্দিনের অভিযোগঃ:মিন্টু ও তার সহযোগীরা পূর্ব থেকেই চাঁদা দাবি করে আসছিল। কখনো জোর করে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করত। ঘটনা দিন তাদের ২০-২৫ জনের একটি দল নিয়ে গোডাউনে প্রবেশ করে অতর্কিতে হামলা চালায়। শাহাজ উদ্দিন খবু ও রেজাউল করিমকে মারধর করে রক্তাক্ত করে, হাত-পা বেঁধে তুলে নিয়ে যায় এবং রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে অচেতন অবস্থায় গোডাউনে নিয়ে গিয়ে ২ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কেজি শিসা লুট করে। পরে নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ‘মব জাস্টিস’ চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শাহানাজ উদ্দিন,আরো বলেন, পরদিন ৫ এপ্রিল ধামরাই থানার এসআই সুবোধ চন্দ্র বর্মন ঘটনাস্থলে এসে তাদের অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে মিন্টু ও তার লোকজন থানায় গিয়ে উল্টো মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহাজ উদ্দিন খবু জানান, তিনি ১৬ এপ্রিল ঢাকার জজ কোর্টে ৩৯৫/৩৯৭/৩৯৮ ধারায় মাহবুবুর রহমান মিন্টুসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের দাবি জানান।
এছাড়াও তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং পরো বিষয়টি সুষ্ট তদন্ত পুর্বক বিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়দের বক্তব্য:তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায় , অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান মিন্টু একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের হুমকি-ধামকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা খবুর উপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া: ধামরাই থানার এসআই সুবোধ চন্দ্র বর্মন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ডিউটি অফিসারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় শাহাজ উদ্দিন খবু ও রেজাউলকে দেখতে পান, কিন্তু তাদেরকে মারদর করার কারনে অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় থানায় নেওয়া হয়নি। পরে মিন্টু ও তার লোকজন তাদের থানায় নিয়ে আসে এবং মামলা রুজু করেন।