মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
মহালছড়ি বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদ ও পরিবেশগত ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাল ভরাট করে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। খালের উপর বাঁশ ও কাঠের খুঁটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে টিনের ঘর, যার একটি অংশ ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়ে গেছে। খালপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই স্থাপনাটি সরকারি জলাধারের স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই খালটি বহু বছর ধরে এলাকার পানি নিষ্কাশন ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যেত, যা এলাকার জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে সহায়ক ছিল। কিন্তু এখন সেই খাল ভরাট করে স্থাপনা গড়ে তোলায় ভবিষ্যতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা ও এলাকার সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোন প্রতিকার না পাওয়াতে হতাসাগ্রস্থ এলাকাবাসী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট এ ব্যপারে অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর দাবী অনতিবিলম্বে দখলকৃত খাল অবৈধ প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্বার করে এলাকার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হোক। তারা আরো অভিযোগ করেন”সরকারি সম্পদ দখল করাই এখানে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
জানা যায় এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খাস ফ্রিন্চল্যান্ডের একশনা বন্দবস্তির ধান্যজমি গুলো নিজের জমি দাবী করে রাতের আঁধারে বিক্রয় করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। যদিও সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ধান চাষের জমিতে স্থাপনা তৈরি করা যাবেনা।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রশ্ন উঠে এসেছে – সরকারি খাল ও জলাধার রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা কতটা কার্যকর? পরিবেশ আইন অনুযায়ী খাল দখল বা ভরাট সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, তবুও একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়মবিধি উপেক্ষা করেই নিজেদের স্বার্থে সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
পরিবেশ সচেতন মহল দ্রুত এই অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে খাল পুনরুদ্ধারের দাবি এবং অবৈধ ভাবে বিক্রয় করা ফ্রিন্চল্যান্ডের ধন্যজমি উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট। তারা প্রশাসনের প্রতি আরো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে খালটির প্রাকৃতিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হয় এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা কথা বললে জানান, তিনি মহালছড়ি উপজেলায় নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন, তবে এ বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারি খাল ও ফ্রিন্চল্যান্ডের ধানিজমি উদ্ধার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন