সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার দেশের বহু মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। দেশের ১১ জেলায় বেশ কিছু গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়েছে। জেলাগুলো হলো- চাঁদপুর, দিনাজপুর, ফরিদপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, শেরপুর ও সাতক্ষীরা। ঈদের নামাজ আদায়ের পর পশু কুরবানি দেন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
দিনাজপুর: আরবের সঙ্গে মিল রেখে সকাল ৮টায় দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও চিরিরবন্দর, বিরল, কাহারোল, বিরামপুর ও বীরগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর: বোয়ালমারীর ১০ গ্রামে শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেছে কিছু মানুষ। তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারী।
জামালপুর: সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৭টি গ্রামের মানুষ শুক্রবার ঈদ উদযাপন করছেন। উপজেলার বলারদিয়ার, দক্ষিণ বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, বালিয়া, বনগ্রাম, করগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, লোটাবর, উচ্চগ্রাম ও পাটাবুগা গ্রামের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
কুড়িগ্রাম: ফুলবাড়ি, ভূরুঙ্গামারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন মানুষজন।
মাদারীপুর: মাদারীপুরে ঈদ উদযাপন করেছেন ২৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ।
জানা যায়, সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরিফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উৎসব পালন করছেন।
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের সার্কিট হাউজ এলাকায় শুক্রবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে ফিলিস্তিনিসহ বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংঘাত নিরসন ও বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি প্রতিষ্ঠায় দোয়া করা হয়।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঝাউগড়া সুরেশ্বরীয়া বেলায়েতিয়া পাক দরবার শরিফ মাঠে শুক্রবার সকালে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলেও সাড়ে ৮টা থেকেই মানুষজন আসতে শুরু করেন। ২০তম ঈদের নামাজে ইমামতি করেন ক্বারি মাসুদ মিয়া সুরেশ্বরী।
পটুয়াখালী: প্রতি বছরের মতো পটুয়াখালীর ২৫ গ্রামে শুক্রবার ঈদ উদযাপন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরিফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন বদরপুর দরবার শরিফের সেজ হুজুর আরিফ বিল্লাহ রব্বানী।
শেরপুর: শেরপুরের সাত গ্রামে শুক্রবার ঈদ উদযাপিত হয়েছে। সদর উপজেলার উত্তর চরখার চর, দক্ষিণ চরখার চর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া, গোবিন্দ নগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও ও চতলে সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা: বরাবরের মত এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার ২০টির বেশি গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে এসব গ্রামের মানুষজন পশু কুরবানি দেন।