সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হলেও এখানকার লাখো মানুষ যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা। ভাদাইল বাজার হইতে জামগড়া পর্যন্ত সেই কাঁচা রাস্তায়, যা আজ এলাকার সাধারণ জনগণ ও লক্ষাধিক গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা, আর সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এই পথ দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ, নষ্ট হচ্ছে শ্রমিকের মূল্যবান কর্মঘণ্টা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলছে এই সীমাহীন দুর্ভোগ।

রাস্তাটির এই বেহাল দশার কারণে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত। সময়মতো কারখানায় পৌঁছানো গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিও কম নয়।
একজন গার্মেন্টস শ্রমিক – হেঁটে বা সাইকেলে যেতে কষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন সকালে ভয়ে থাকি। কারখানায় ঢুকতেই দেরি হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে তো হাঁটা যায় না, রিকশাও যেতে চায় না। ১৭ বছর ধরে এমন দেখছি। আমাদের কষ্টটা কেউ দেখে না! খুবই খারাপ অবস্থা। অসুস্থ হলে হাসপাতাল নেওয়া কঠিন। প্রসূতি মায়েরা বা বয়স্করা তো একদমই বের হতে পারেন না। বহুবার আবেদন করেছি, কেউ কোনো কাজ করে না।
এলাকাবাসীর এই চরম দুর্দশা নিরসনে অবশেষে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। আশুলিয়া থানা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক খন্দকার এলাকাবাসীকে সাথে সহমত পোষণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

মোঃ ফারুক খন্দকার, এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চরম কষ্ট সহ্য করছেন, কিন্তু কোনো সুফল মেলেনি। এই রাস্তাটি আজ মরণফাঁদ। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অবিলম্বে আবেদন জানাচ্ছি যেন আর এক মুহূর্তও দেরি না করে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজটি শেষ করা হয়। এই এলাকার লাখো শ্রমিকের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হলে এই রাস্তার কাজ আগে করতে হবে।
এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতার দাবি স্পষ্ট। দ্রুত এই কাঁচা রাস্তা পাকা করে দুর্ভোগের অবসান ঘটানো হোক। জনগণের এই দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কবে পদক্ষেপ নেবেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়। আমরা আশা করছি, সরকার জনগণের এই কষ্ট দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।













