চট্টগ্রামে নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে সর্ববৃহৎ টার্মিনাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ এর অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর সূত্র। এখন থেকে আগামী ৮ মাস চলবে প্রকল্পের ফাইল ওয়ার্ক। এরপর শুরু হবে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক।
সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে বিনিয়োগে যুক্ত হচ্ছে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি ও দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড। এসব প্রতিষ্ঠান দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থে মাল্টিপারপাস জেটি। এ জেটি প্রকল্পেও আরও দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা। সব ঠিকমতো এগিয়ে গেলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ অপারেশনে যাবে বে-টার্মিনাল। বন্দরে এখন ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হচ্ছে। বে-টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা হলে ৫০ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানায়, বিস্তারিত ডিজাইন সম্পন্ন না হওয়ায় এবং এর পাশাপাশি আরও কিছু জটিলতা থাকায় চলতি বছর বে-টার্মিনালের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এদিকে, বিগত সময়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান সংলগ্ন এলাকায় অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নতি সাধিত হয়েছে। নির্মিত হয়েছে পাকা সড়ক। ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা বিশ^ব্যাংকের ঋণ সহায়তা থাকছে।
অবশিষ্ট টাকা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জোগান দেবে। এ অর্থের মধ্যে ৮ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে। ১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকায় তৈরি হবে নেভিগেশন এক্সেস চ্যানেল। নেভিগেশন যন্ত্রপাতির জন্য খরচ হবে ৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে রেল ও সড়ক সংযোগে।
বন্দর সূত্র আরও জানায়, নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমপিবিএস এ প্রকল্পের ফাইল ওয়ার্ক শুরু করেছে। জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেলহর্ন ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শুরু করেছে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মিটার দীর্ঘ বে-টার্মিনালে ১ হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম বর্তমান সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছিতে উন্নীত হবে। এ টার্মিনাল হবে বন্দরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ টার্মিনাল।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানাই বে টার্মিনাল চট্টগ্রামে নির্মিত হলে ব্যবসার নতুন দুয়ার খুলবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা চট্টগ্রাম বন্দর আরো অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিবে বাংলাদেশকে। দেশের রাজস্বের একমাত্র অক্সিজেন হলো চট্টগ্রাম বন্দর তাই চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো ব্যবসায়ী মুখী করতে সরকারের নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করা রয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে রাত দিন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বে টার্মিনাল হল চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প।













