কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের খেওয়ার চর বকবান্দা আলগার চর,লাল কুড়া, চর লাঠিয়ালডাঙ্গা বিক্রি বিল বালিয়া মারী সহ পাহাড় সীমান্ত ঘেঁষা আরো অনেক গ্রাম, যে গ্রামগুলিতে নেই কোন চলাচলের রাস্তা নেই কোন যোগাযোগের ব্যবস্থা সেখানে বাস করে অসহায় মানুষ, আবহাওয়া পরিবর্তনে নদী ভাঙ্গা বেড়ে ধ্বংসে পরিণত হচ্ছে কুড়িগ্রামের জিনজিরাম ও ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী নদীর পাড়ের অসহায় জনগণ, নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ এবং নদী শাসনের পাশাপাশি বাঁশের বান্ডেল ও বস্তা তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এই নদী ভাঙ্গন এলাকার জনগণ জমিজমা হারিয়ে অন্যের জমিতে খুঁটি বিহিত ত্রিপাল তুলে ছেলে-মেয়ে ভাই-বোন আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বসবাস, আবার অনেকে কাগজ পলিথিন ছেঁড়া কাপড় দিয়ে সায়লা তুলে আছেন নদীর ধারে, গত কয়েক বছরে বকবান্দা বেপারী পাড়া খেওয়ার চর, লাল কুড়া গ্রামগুলোতে প্রায় এক হাজার পরিবার ভিটেমাটি কৃষি জমি হারিয়েছে শত শত বিঘা, এই সর্বহারা মানুষগুলি চলে গেছে জন্মস্থান থেকে কেউ ঢাকায় কেউ চট্টগ্রাম কে কোথায় চলে গেছে কারো খোঁজ কেউ রাখে না,বক বান্দা গ্রামের মুকুল হোসেন বলেন, আমার চোখের সামনে বাড়ি নদীতে চলে গেল কিছুই করার ছিল না, এখন বর্তমানে জমি ঘর আমার কিছুই নেই বাচ্চা সন্তানদের নিয়ে কি করব নেই কোন খাওয়া-দাওয়া বাকিটুকু আল্লাহ পাকে জানে, খেওয়ার চর গ্রামের আশিতন পাগলী বলেন, আমি আমার ভাইয়ের বসত বাড়িতে থাকি অন্যের বাড়িতে ভিক্ষা করে খাই তবুও রাখল না বসতবাড়ি এটুকু চলে গেল নদীতে বিলীন হয়ে এখন ভাই সহ পরিবারের সবাই অসহায় দারে দারে ঘুরছি অন্যের বাড়িতে, নামা বক বান্দার আব্দুস সালাম বলেন মানুষের কাছে চেয়ে নেওয়া ২ শতক বসত ভিটা সেটাও নদীতে ভেঙ্গে সব নিঃস্ব হয়ে গেল এখন বর্তমানে আমি কোথায় যাব সেই ঠিকানা পাচ্ছি না।













