বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর মতোই অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে— এমন মন্তব্য করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “যারা একসময় এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছিল, আজ তারাই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আজ যারা এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন তাদেরকেও সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে। “ইসলাম আগমনের আগে পৃথিবী ছিল জুলুম-নির্যাতনের অন্ধকারে নিমজ্জিত—যাকে বলা হত জাহেলিয়াতের যুগ। ইসলাম সে অন্ধকার দূর করে এনেছে ন্যায় ও ইনসাফের আলোকিত সমাজ। আজও জামায়াত ও ছাত্রশিবির সেই ন্যায়ের সমাজ গড়ার সংগ্রামে অবিচল।”
ড. মাসুদ আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবির এমন একদল সোনার মানুষ তৈরি করেছে, যাদের ওপর আস্থা রেখেই শিক্ষার্থীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চারটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। জনগণ এখন সে সোনার মানুষদের হাতেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত।”
ভোটকেন্দ্র দখলের প্রবণতা প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন,
“যারা ভোটকেন্দ্র দখল করতে চায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়—তারা সন্ত্রাসী। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করব।”
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনার জবাবে ড. মাসুদ বলেন,
“অনেকে বলে জামায়াতের কথা ও কাজে মিল নেই—কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, কথা ও কাজে মিল থাকল বলেই আমাদের নেতারা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।”
বেকারত্ব ও তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন,
“জামায়াত ক্ষমতায় এলে প্রতিটি যুবকের এক হাতে থাকবে সার্টিফিকেট, আরেক হাতে কর্মসংস্থান। আমরা চাই, তারা উদ্যোক্তা হয়ে দেশ গড়ার কারিগর হোক। ইতোমধ্যে বাউফলে প্রায় আড়াই শতাধিক তরুণকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকালই দশটি পরিবারকে ছাগল, অটোরিকশা ও মৎস্যখামারের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে কিছু নেতা তরুণদের মাদকের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা চাই তারা হোক স্বাবলম্বী, আত্মমর্যাদাশীল—দেশের উন্নয়নের শক্তি।”
গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কাজী মো. আবদুদ দইয়্যান, জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম নজরুল, আরিফুর রহমান পলাশ ইসলামী ছাত্রশিবির পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম নূর, উপজেলা সভাপতি মো. লিমন হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।
দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে ২৫০টিরও বেশি মোটরসাইকেল ও ৫০০ নেতাকর্মীর বিশাল শোভাযাত্রা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খেয়াঘাট, চর ব্যারেড, চর অডেল, আসম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি স্থানে পথসভা করে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি করে।













