ঢাকা সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় আলোচিত ছাত্র ফারুক হোসেন হামলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরাফাত সরকারকে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিগত সময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বর্তমানে অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরাফাত সরকার বর্তমানে আশুলিয়া ও বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অন্যের জমি দখল, চাঁদা দাবি ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বিতর্কের মুখে রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, তার এ অদৃশ্য প্রভাবের কারণে এলাকার অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না। এই আরাফাত সরকারের অত্যাচারে নির্যাতনে গুলিবিদ্ধ ছাত্র ফারুক এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে। ওই দিন দুপুরে আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল গোলচত্বর এলাকায় মোহাম্মদ আরাফাত সরকারের নেতৃত্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর একদল যুবলীগ কর্মীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে ছাত্র নেতা মো. ফারুক হোসেন (২১) গুরুতরভাবে আহত হন।
চোখে-মুখে আতঙ্ক নিয়ে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ফারুক দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তার ডান পায়ের হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত বহু ছররা গুলি বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভঃ এলাকাবাসীর অভিযোগ, মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে সাধারণ মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
বিরুলিয়া এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক বলেন,একজন হামলার মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে মানুষ আতঙ্কে থাকে। আমরা চাই প্রশাসন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুক।
স্থানীয়দের মতে, এই মোহাম্মদ আরাফাত সরকারের অদৃশ্য প্রভাবের কারণে অনেক সময় আইনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। তারা তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে, প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।













