চুয়াডাঙ্গায় শীতের মৌসুমকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় পাঁচটি উপজেলায় শুরু হয়েছে খেজুর গাছ কাটার প্রক্রিয়া এর পর শুরু হবে খেঁজুর রস সংগ্রহ তার পর খেজুর গুড়েরপ্রস্তুতি। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ এই খেজুর গাছ। গ্রামীণ জনপদের আসন্ন নবান্ন উৎসবের অপরিহার্য উপাদান খেঁজুরের রস আর গুড়।
শীতের সকালে নানাভাবে খাওয়া হয় এ রস।শীত মানেই ভাপা পিঠা আর খেঁজুরের রস যেন বাঙ্গালীর ঐতিহ্য। শীতের শুরুতেই খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গাছিরা। প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত আর পিঠা যেন সমার্থক। আর শীতের পিঠায় অন্যতম অঙ্গ খেজুরের গুড়। এ গুড় পাওয়া যায় খেজুরের রস থেকে। শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে জীবননগর বিভিন্ন এলাকার গাছিদের মাঝে। গাছিরা খেজুর গাছ কাটা-ঝোড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত কিছুটা বাড়লেই শুরু হবে রস সংগ্রহ,তৈরি হবে খেজুরের গুড়। জীবননগর উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে গেলে চোখে পড়ে খেজুর গাছ।
জেলার, আলমডাঙ্গা, কার্পাসদাঙ্গা,সদর , দর্শনা,জীবন নগর থানার এলাকাগুলোতে খেঁজুর গাছে গাছীরা রসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খেঁজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার ও গাছের উপরিভাগে ধারালো দা দিয়ে ছিলে রাখতে দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা ও পাকা সড়ক পথ, দুই ধার, জমির আইল, বাড়ির আঙ্গিনাসহ বিভিন্ন পতিত জায়গায় ছড়িয়ে আছে কয়েক শত শত খেজুর গাছ।
কাশীপুরের গাছিয়াল ফজলু জানান, প্রতি বছরে শীতের এই মাসে খুব পরিশ্রম করতে হয় আমাদের। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি খেঁজুর গাছের পেছনে। গাছের রস সংগ্রহ করতে যেতে হয় কষ্ট করে। শীত যত বেশি হয় রসও শীতের সাথে সাথে বেশি হয়।বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা দু ধারেই বর্তমানে রস আর গুড়ের কারবারির প্রস্তুতি দেদারসে চলছে। দম ফেলার সময় নেই এখানকার কৃষকদের। যা শীতকালে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। গ্রাম গঞ্জের বাতাসে তাই খেঁজুর রস আর গুড়ের গন্ধে এখন মনপ্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।
নয়া দিগন্তের সিনিয়র সাংবাদিক আতিয়ার রহমান বলেন, গ্রাম বাংলার শীতের ঐতিহ্য খেজুরের রস এবং গুড় যা পিঠা তৈরি ব্যবহার হয়। আর এই পিঠা গুণে মানে অতুলনীয়। এজন্য প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গুড় এবং খেজুরের রস সংগ্রহ করতে আসে ব্যবসায়িকরা।













