উজ্জ্বল ব্যানার্জী (বিশেষ প্রতিনিধি):
শনিবার সকালে কেশবপুর (যশোর) এর পাঁজিয়া অঞ্চলে যেতে যেতে হঠাৎ চোখে পড়ে অভিনব কায়দার এর চাঁদাবাজির দৃশ্য। সার্কাসের হাতি নিয়ে অজ্ঞাতনামা এক কিশোর এর দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে এই কাজ। কেশবপুর থেকে কলাগাছি যাওয়ার প্রধান সড়কে পথচারীদের হাতির ভয় দেখিয়ে সে আদায় করছে অর্থ।
টাকা দিতে বাধ্য করছে সব শ্রেণির মানুষকে। অনেকেই হাতির তর্জন গর্জনে ভীতু হয়ে পকেট থেকে বের করে দিচ্ছে টাকা। এক পথচারী পাঁচটাকা দিলে হাতির পিঠে বসে থাকা কিশোর উত্তর দেয় ‘এই হাতি পাঁচ টাকা নেয় না। কমপক্ষে দশ টাকা দিতে হবে।’ এভাবেই আদায় চলছে দিন ব্যাপী। খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন এই সার্কাসের হাতি নিয়ে হাতির মাহুত পাড়ি দেয় পনেরো থেকে বিশ কিলোমিটার পথ। রাত হলে আশ্রয় নেয় পথের ধারের কোন স্কুল- কলেজের মাঠে। মালিকের নির্দেশনা মত নির্দিষ্ট সময়ে ডেরায় ফেরে হাতি।
এই সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ কিশোর তার আয় থেকে পরিশোধ করে হাতির লিজের টাকা। চুক্তিবদ্ধ সময়ে নিজ দায়ীত্বে হাতি এবং নিজের খরচ চালায় মাহুত। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, একদিনে একটি হাতি আনুমানিক পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা আয় করে থাকে।
এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু প্রধান সড়ক নয়, মাঝে মাঝে এই হাতি ঢুকে পড়ে মহল্লায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদায় করে টাকা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ বিট এর দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই তাপস রায় বলেন ‘ঘটনাটি আমার অজানা। তবে এটা এক ধরণের চাঁদাবাজি। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এভাবে যত্র তত্র টাকা আদায় বে-আইনি।’