
মোঃ রিপন মিয়াঃ
সাভারে লকডাউনের সময় ভাড়াটিয়াদের যোর পূর্বক বের করে দেয়ার ঘটনায় অবশেষে পুলিশ এসে রক্ষা করলো ভাড়াটিয়াদের।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ (৭ এপ্রিল) সকালে সাভারের পৌরসভার ছায়বীথি এলাকায়। জানা গেছে, ঐ এলাকার সি-৭/৭ তিনতলা বাড়ির মালিক ফেরদৌস খান প্রায় চার বছর যাবৎ নিরুদ্দেশ। বাড়ির ৬টি ফ্লাট ভাড়া দিয়ে টাকা উত্তোলন করতেন ফরিদপুরের ইদ্রিস খানের ছেলে সবুর খান।
প্রায় ৭ দিন আগে সাভার বাজার রোডের ব্যবসায়ী পরিচয়ে মিজানুর রহমান এসে বাড়িটির মালিক দাবি করেন। এ সময় তিনি বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের সাত দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করতে বলেন।
আজ সকালে মিজানুর রহমান বাড়িতে এসে ভাড়াটিয়াদের আবার দুই দিনের মধ্যে চলে যেতে হুমকী দিলে বিষয়টি সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদকে জানানো হয়।
তৎক্ষনাৎ সাভার মডেল থানার এসআই সালাউদ্দিন এসে দেখেন যে, মালিক দাবিদার মিজানের ভয়ে ভাড়াটিয়াদের দু’একজন চলে যাচ্ছেন। তখন পুলিশ ভাড়াটিয়াদের আশ্বস্ত করেন।
ভবনের ভাড়াটিয়া আব্দুস সামাদ, হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই জানান, গত সাতদিন প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে মিজান সাভার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বরাত দিয়ে বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকী দিয়ে আসছেন।
আজ সকালে এসে আমাদের সাথে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং আগামী শুক্রবারের পরে যাতে আমাদের মুখ তিনি না দেখেন সেই কথা ব্যক্ত করেন। আমরা লকডাউনের সময় নিরুপায় হয়ে পুলিশকে বলেছি।
মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমি ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তার মাধ্যমে বাড়িটি কিনেছি। তিনি আমাকে বাড়িটি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন।
সাভার মডেল থানার এসআই সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাড়াটিয়াদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং নির্ভয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, বাড়ির প্রকৃত মালিক কে তা যাচাই করা হচ্ছে। ভাড়াটিয়াদের সাতদিনের সময় বেঁধে বের করে দেয়ার বিষয়টি অমানবিক।
উল্লেখ্য, বাড়ির মালিক ফেরদৌস খান মামলা, গ্রেফতারী পরোয়ানা ও বিভিন্ন লোকের টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।