সাহিত্যে মানিকগঞ্জ জেলার সুনাম মেলা ভাড়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এ জেলাকে যারা বিশ্ব দরবারে পরিচিতি বাড়িয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, খাঁন আতাউর রহমান, নীনা হামিদ, হীরালাল সেন, মুনীর চৌধুরী ও মমতাজ বেগমের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে এ জেলাকে সমৃদ্ধশীল করেছেন তাদের সংখ্যা অনেক। এরা সবাই ‘মানিকগঞ্জের মানিক’ হিসেবে খ্যাত।সাহিত্যকর্ম ও সংস্কৃতিতে প্রস্ফুটিত ফুলের মত মানিকগঞ্জে আরো একটি মানিকের আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে। সেই প্রস্ফুটিত মানিক মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের খাঁন শাহিন। শাহিন ১৯৭৬ সালে ঘোনাপাড়া গ্রামে মাতা হামিদা বেগমের কোল উজ্জল করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। পিতা মৃত আব্দুস সামাদ খান।
তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরে সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এবং সিংগাইর ডিগ্রী কলেজ হতে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পেশায় নিয়োজিত আছেন। শৈশবে সমাজের নানা বৈষম্য, অনাচার ও দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেশিত মানুষের দুঃখ বেদনা দেখে তাকে ভাবিয়ে তোলে। মূলত সেখান থেকেই লেখালেখি শুরু হয় তার। ইচ্ছে জাগে মনে যে কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র, সে কালি দ্বারা লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে অন্ধকার ও কুসংস্কার হতে মুক্তির বাহন হিসেবে নিজেকে মানব হিতৈষীর দৃঢ় প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
আর তাতে অনেকটা সফলও তিনি। বহু উপন্যাস, গল্প ও নাটক লিখে তিনি এখন বেশ আলোচনায়। তার উল্লেখযোগ্য গল্পের মধ্যে রুবির ভালবাসা ও হেমা। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল, তবুও জীবন যায় কেটে এবং পাশাপাশি ২০১৮ সালে গ্রন্থমেলায় উপন্যাস শিশির ভেজা একুশ ও চাঁদের গায়ে মেঘের ছায়া প্রকাশিত হয়। তিনি নিয়মিত টিভি নাটক ও সিনেমার স্ক্রীপ্ট লিখেন।
উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে, লাল বেনারশী, অমর চেতনা, বিশু ডাক্তার প্রভৃতি। এছাড়া তার লেখা টেলিফিল্ম, ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শিত হলে দর্শক মহলে বেশ সাড়া ফেলে। খাঁন শাহিন মিডিয়ার সামনে আসতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলেও একাধিকবার বলাতে রাজি হয়ে সাক্ষাতে বলেন, ভাই আমার মত প্রত্যেকটি লেখক খুব আনন্দিত হন যদি পাঠক লেখাগুলো পড়েন। আমার লেখা সমাজকে সচেতন, শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধকরণ ও কুসংস্কার হতে আলোর পথে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আশা করি।
মোঃ মিজানুর রহমান,
সিংগাইর