মাহবুব আলম মানিক
ঢাকা ১৯ আসনের নবাগত সংসদ সদস্য জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পরপর-ই সাভার ও আশুলিয়ায় ফুটপাত, রাস্তাঘাট, পরিবহন, রিক্সা ভ্যান,ও ইজিবাইক সহ সকল প্রকার যানবাহনে চাঁদাবাজি
বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং কি চাঁদাবাজি বন্ধে বিভিন্ন উদ্যেগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সংসদ সদস্যের এমন উদ্যোগে বাহবা জানিয়ে তাকে সফল নির্দেশনাকারি বলে মনে করছেন অনেকে। তার দেওয়া নির্দেশনা মেনে বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজি বন্ধ করলেও বন্ধ করেনি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্লা।
সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে কাশিমপুর পযন্ত চলাচলকারী প্রায় কয়েক শত ইজিবাইক থেকে তাঁর পালিত লোকজন দিয়ে হরহামেশাই প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন ।
মোটা চাকার রিকশা ও ইজিবাইক থেকে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দিয়ে প্রতিদিন চাঁদা তোলেন প্রায় ২০ হাজার টাকা। যা মাস গড়ালে দাঁড়ায় প্রায় ৬ লাখ টাকা আর বছর গড়ালে দাঁরায় ৭২ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- প্রকাশ্যে চাঁদার টাকা উত্তলনকারি ব্যক্তি ও সহযোগীদের নাম সুমন ও সাগর। তারা লাইনম্যান পরিচয়ে চাঁদা তোলেন যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্লার নামে তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
চাঁদার টাকা উত্তলন করার সময় উত্তলনকারি সুমন ও সাগর কার নির্দেশনায় টাকা উত্তোলন করছেন এবং কাদের পকেটে এই চাঁদাবাজির টাকা পৌঁছায় জানতে চাইলে সুমন বলেন, আশুলিয়া থানা পুলিশ থেকে শুরু করে ডিবি, র্যাব সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ আরও অনেককেই এই টাকার ভাগ দিতে হয়, এর থেকে থেকে বেশি কিছু জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্লা মামার কাছে যান তিনি আরও ভালো বলতে পারবে।
ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সোহেল মোল্লার কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লার চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন সরকারের কাছে ফোন করলে তিনি এই বিষয়ে অবগত নয় বলে প্রতিবেদককে জানান। এবং সাধারণ সম্পাদকের সম্পৃক্ততা থাকলে থানা যুবলীগ নেতারা তা ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানান তিনি, তবে গুঞ্জন রয়েছে উক্ত চাঁদাবাজিতে সভাপতিরও দিকনির্দেশনার বিষয়ে ।
চালকদের দাবি- চাঁদার টাকা, গাড়ি ভাড়ার টাকা, গ্যারেজ ভাড়ার টাকা পোষাতে বেপরোয়া গতিতে ইজিবাইক চালান তারা। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা। তাই এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের নজরদারি চান যাত্রীরা ও চালকরা।
ছোট যানবাহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই চাঁদাবাজিতে পুলিশ প্রশাসনও জড়িত। তবে পুলিশের দাবি, এসব চাঁদাবাজির বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
ইজিবাইকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি এবং আইনি হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক, নরসিংহপুর বিট অফিসার আবুল হাসান জানান ঢাকা জেলা এসপি স্যারের সরাসরি নির্দেশনা দেওয়া আছে, যদি কেহ কোনকিছুতে চাঁদাবাজি করে এবং সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে সে যত বড় ক্ষমতাবান ব্যক্তিই হোক না কেনো।