সাঈম সরকারঃ
শিল্প এলাকা আশুলিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন অভিযান ধারাবাহীক অব্যত থাকলেও থেমে নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারী কিছু অসাধু ব্যাক্তিদয় । একদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি সাভার জোনাল অফিসের দায়িত্ব রত কর্মকর্তাগণ নিয়োমিত ভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে অব্যহত থেকে হাফিয়ে উঠছেন ।
অন্য দিকে রাতের আধারে চুরি করে অবৈধ সংযোগে গ্যাস ব্যবহারকারী চক্র নতুন করে অবৈধ সংযোগ সংযুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া ও মাসে মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা নিয়ে অবৈধ কাজের সহ যোগিদের মধ্যে গ্যাস ঠিকাদার পরিচয়ে মোঃ বাবুল নামে এক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩/৪ জন জানায়, মোঃবাবুল দায়িত্বে দেওয়ান সিরাজের বাড়ীর অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছিলো । প্রতিমাসে ৫/১০ তারিখের মধ্যে সিরাজের নিকট থেকে ২০(বিশ)হাজার টাকা মাসোয়ারা নিয়ে থাকে ঐ ঠিকাদার পরিচয়ে মোঃবাবুল ।
এ বিষয়ে, ঠিকাদার পরিচয়ে মোঃবাবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি ।
গত ১৭ ই অক্টোবর (রবিবার) আশুলিয়া থানা সংলগ্ন দেওয়ান সিরাজের বাড়ীর ৪২টি চুলার অবৈধ সংযোগে বিচ্ছিন্ন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি সাভার জোনাল অফিসের দায়িত্ব রত কর্মকর্তাগণ । সেই সংযোগটি আবারও নতুন করে অবৈধ ভাবে সংযুক্ত করতে ব্যপক পায়তারা চলছে ।
বৈধ সংযোগ প্রাপ্ত গ্রাহকগণ জানায়ঃ সারা আশুলিয়া সহ বাইপাইল এলাকায় প্রায় ৪০% অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে । আর সেই কারণে, বৈধ গ্রাহক যারা রয়েছে তারা চাহিদা মত গ্যাস পাচ্ছে না ।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি সাভার জোনাল অফিসের দায়িত্ব রত কর্মকর্তা মোঃ মান্নান সাহেব ও মোঃ শাহাদাৎ হোসেন আবু সায়েম মোল্লা সাংবাদিকদের জানায়,যারা এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে জরিত রয়েছে এবং মাসে মাসে মাসোয়ারা নিচ্ছে, সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
ওনারা আরো বলেন , তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি সাভার জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে আশুলিয়া ও সাভার থানায় অনেক অভিযোগ রয়েছে । তাছারা, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানও অব্যাহত রয়েছে ।