আশুলিয়ার চিত্রশাইলে ছিনতাইয়ের পর ধর্ষন চেষ্টা। ৪ জন যুবলীগ কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী মাফিয়া আক্তার। অভিযুক্তরা হলেন ১। নাঈম (২০) পিতাঃ আজগর ২। সিহাব (১৯) পিতাঃ অজ্ঞাত ৩। জুলহাস(২০) পিতাঃ অজ্ঞাত ৪। সাগর (২১) পতাঃ অজ্ঞাত।
ভুক্তভোগী মাফিয়া আক্তার জানান, আমি আশুলিয়ার চিত্রশাইল বর্তমান ঠিকানায় ভাড়া থাকিয়া গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করি। গত ২৫/১০/২০ ইং তারিখে রাত্র আনুমানিক ৯.৫০ মিনিটে প্রতিদিনের মত আমি এবং আমার প্রতিবেশী স্বাধীন কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলাম আমরা পায়ে হেটে চিত্রশাইল কাঠাল তলা মোড় লিটন হাউজিং এর কাছাকাছি গেলে, হঠাৎ কয়েকজন মুখোশ ধারি লোক এসে কোন কিছু না বলেই আমাদের ঘিরে ফেলে এবং আমার সাথে থাকা প্রতিবেশী স্বাধীনকে এলোপাথারি মারধর করতে থাকে আমি চিৎকার করতে চাইলে কয়েকজন মিলে আমার মুখ চেপে ধরে একটি ফাঁকা যায়গায় নিয়ে যায় এবং আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন কানে থাকা
স্বর্ণের দুল সাথে নগদ ১ হাজার টাকা সহ মোট ৪৬ হাজার ৩৭৫ টাকা ছিনিয়ে নেয়।এবং আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। কিন্তু আমি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে পাশের একটি জঙ্গলে নিজেকে আত্নগোপন করি কয়েক ঘন্টা পর পরিস্থিতি বুঝে রাতের আঁধারে পালিয়ে বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে জানতে পারি আমার প্রতিবেশী স্বাধীনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।এবং আমি পরদিন সকালে জানতে পারি তারা সবাই যুবলীগ কর্মী,ও প্রভাবশালী নেতা কবির সরকারের কাছের লোক। এই বিষয়ে আমি গত ২৬/১০/২০ ইং তারিখে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করি। থানায় অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে, রানা নামের এক যুবলীগ কর্মী আমাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যাহার ফোন রের্কড আমার কাছে রয়েছে।হুমকিতে রানা বলে তুমি নাকি থানায় অভিযোগ করেছো । তুমি আমাদের চেনো আমারা কারা আমরা সবাই কবির সরকার,সোহেল সরকার রাজন ভুইয়ার লোক। আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে তোমাদের জানা নেই।আমারা চাইলে তোমাদের সবাইকে মেরে গর্তে পুঁতে দিতে পারি। কেউ আমাদের কোন বাল ছিঁড়তে পারবেনা। দেখি কে তোমার মামলা নিয়েছে, আর তোমাকে যদি কখনো রাস্তায় একা পাই তাহলে জানে মেরে ফেলবো। ভুক্তভোগী মাফিয়া আক্তার আরো বলেন আমি এখন খুব আতংকে দিন কাটাচ্ছি। আমি এটার দ্রুত সমাধান ও বিচার চাই এবং অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি