সাঈম সরকারঃআশুলিয়া
ঢাকা জেলার শিল্প এলাকা আশুলিয়ায় রয়েছে প্রায় ০৩( তিন)শত এর অধিক ভাংগাড়ী দোকান ব্যবসায়ী।ঐ সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে রুহুল আমিন ও খলিল নামে দুইজনে একটি অসাধু চক্রের নেতৃত্বে বাবুল নামে এক ব্যাক্তি”র প্রকাশে চলছে বছরে প্রায় কোটি টাকার উর্ধে চাঁদাবাজি।এই চক্রেটি গোপালগঞ্জ এর পরিচয়ে দাপিয়ে ও চোষে বেড়াচ্ছে সারা আশুলিয়া।
সরেজমিনে গিয়ে কাইচা-বাড়ী, লেবু বাগানের ভাংগাড়ী দোকান্দার শাহাদাত ও স্বপন-কে জিজ্ঞাসা করলে ওনারা দৈনিক গণমুক্তিকে জানায়, এখানে পাশা-পাশি ৫/৬টি ভাংগাড়ী দোকান (ব্যবসায়ী) রয়েছে। প্রতি জন দোকান্দার মাস শেষে রুহুল আমিন ও খলিল-কে বাবুলের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা দিতে হয় ।
কাইচাবাড়ী রোডে আহাদ নগর এলাকায় শফিক নামে ভাংগাড়ীর মালিক জানায়, মাস ফুরানোর আগেই বাবুল তার মটরসাইলে নিয়ে এসে হাজির হয় আশে-পাশের সকল ব্যবসায়ীরা বাবুলকে ২হতে ৫ হাজার করে দেওয়া লাগে । পলাশ বাড়ীর সাত্তার একই কথা বলেন । বাইপাইল- টুংগী রোডে বগাবাড়ীতে রয়েছে প্রায় অর্ধশত ভাংগাড়ী ব্যবসায়ী। এর মধ্যে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না ।তবে, মান্নান সহ একাধীক জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়, সারা আশুলিয়ায় ছোট বড় প্রায় ০৩শত এর অধিক দোকান রয়েছে।
ছোট দোকানে ০১ হাজার এবং বড় দোকান ৫ হতে ৭ হাজার টাকা হারে দিতে হয় বাবুলের হাতে। তারা আরো বলেন, বর্তমানে আশুলিয়ার সব চেয়ে বড় ভাংগারী দোকান্দার বাইপাইলে অবস্থিত খলিল এবং মুজারমিল এলাকায়,মোঃ রুহুলে এর নিদের্শেই বাবুলের নিকট প্রতি মাসে ১০ তারিখের মধ্যে এই চাঁদার টাকা দিতে হয় ।
স্থানীয় গণ্যমান্য এলাকাবাসি জানায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অসংখ্যবার ওদের চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এর পরেও থেমে নেই এই চক্রটি । রহস্যজনক কারণে এই চক্রটির বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন আইনী ব্যবস্থা ।
এ ব্যাপারে বাবুল জানায়ঃ রুহুল আমিন ভাই ও খলিল ভাংগাড়ী ব্যবসায়ীদের নেতা। তারা দুইজন নিজেদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রতিমাসের মাশোয়ারার টাকা আমাকেই নিয়ে আসতে হয়।
রুহুল আমিন ও খলিল প্রতিমাসে মাশোয়ারা বাবদ চাঁদা উত্তলণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ,ভাংগাড়ী ব্যসায় বিভিন্ন রকম মালামাল ক্রয় বিক্রয় করা হয়। এর ভিতরে যেমন-তামা,পিতল,বিদ্যূতের ট্রান্সমিটারের ভিতরে মুল্যবান কিছু জিনিসও থাকে । ফলে, থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে হয়রানীর শিকার হতে হয়।
বিশেষ করে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতেই ঐ সব ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাশোয়ারা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ২১ নভেম্বর (সোমবার) আশুলিয়া থানায় সরেজমিনে গিয়ে অফিসার ইনচার্জ উপস্থি না থাকায় জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোহাম্মদ মোমেনুল ইসলাম জানায়, এ ধরনের চাঁদাবাজির কথা তার জানা নেই।তবে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন ছার দেওয়া হবে না।