আশুলিয়ায় রুহুল আমিন ও খলিল এর খুটির জোর কোথায় ?

সাঈম সরকার ( আশুলিয়া সংবাদদাতা )

বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অসংখ্যবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও থেমে নেই এই চক্রটি । রহস্যজনক কারণে এই চক্রটির বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন আইনী ব্যবস্থা । মাসে মাসে মোটা অংকের উৎকোচের আড়ালে চাপা পরে থাকা এই চক্রেটির রয়েছে আরো একটি শক্তিশালী পরিচয় । তা হলো রুহুল আমিন এর নিজ জেলার নামঃ গোপালগঞ্জ । আার, সেই পরিচয়ে দাপিয়ে ও চোষে বেড়াচ্ছে সারা আশুলিয়ায় ৩/৪ শত ভাংগাড়ী দোকান । যাবতিও ভাংগাড়ী দোকান গুলো থেকে প্রতিমাসের ১তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে হিসাব বুঝে নিতে মটরসাইকেল নিয়ে দিন-রাতা দৌড়িয়ে চলছে দায়িত্ব প্রাপ্ত রহুল আমিনের ছোট বোনের স্বামী বাবুল ওরফে বাবলু । সরেজমিনে গিয়ে কাইচা-বাড়ী, লেবু বাগানের ভাংগাড়ী দোকান্দার শাহাদাত ও স্বপন-কে জিজ্ঞাসা করলে ওনারা সাংবাদিকদের  জানায়, এখানে পাশা-পাশি ৫/৬টি ভাংগাড়ী দোকান (ব্যবসায়ী) রয়েছি । প্রতি জন দোকান্দার মাস শেষে রুহুল আমিন ও খলিল-কে প্রতি মাসে ২ হাজার হারে টাকা দিতে হয় । সম্ভার পাম্প এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাইচাবাড়ী রোডে আহাদ নগর এলাকায় শফিক নামে ভাংগাড়ীর মালিক জানায়, মাস ফুরানোর আগেই বাবুল তার মটরসাইলে নিয়ে এসে হাজির হয় আশে-পাশের সকল ব্যবসায়ীরা বাবুলকে ২হতে ৫ হাজার করে দেওয়া লাগে । পলাশ বাড়ীর সাত্তার একই কথা বলেন । বাইপাইল- টুংগী রোডে বগাবাড়ীতে রয়েছে প্রায় ৩ডজন ভাংগাড়ী এর মধ্যে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না ।তবে, মান্নান সহ একাধীক জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়, প্রতি মাসে ৫ হতে ৭ হাজার টাকা হারে গুনতে হয় । তারা আরো বলেন, বর্তমানে আশুলিয়ার সব চেয়ে বড় ভাংগারী দোকান্দার বাইপাইলে অবস্থিত খলিল এবং মুজারমিল এলাকায়,মোঃ রুহুলে এর নিদের্শে বাবুলের নিকট দিতে হয় । এবিষয়ে রুহুল ও খলিল জানায়,ভাংগাড়ী ব্যসায় বিভিন্ন রকম মালামাল ক্রয় বিক্রয় করা হয় । তার মধ্যে যেমন-তামা,পিতল,বিদ্যূতের ট্রান্সমিটারের ভিতরে মুল্যবান কিছু জিনিস সহ অবৈধ মালামাল থাকে । যার কারণে, থানা পুলিশ ম্যানেজ করতেই ঐ সব ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাশোয়ারা নিতে হয় । ঢাকা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আশুলিয়া । লাখো মানুষের বসবাসের ব্যাস্ততম এই শিল্প এলাকা এবং ক্রাইমজোন হিসেবেও পরিচিত। যেখানে প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে বড় বড় অপরাধ মুলক ঘটনা। খুন, চুরি ,ডাকাতি মাদক ও চাঁদাবাজী এ যেন, আশুলিয়া থানা প্রায় দিনের তালিকায় তালিকাভুক্ত । এসব অপরাধ নির্মুলে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভুমিকা যথেষ্ঠ রয়েছে । ছোট কিংবা বড় সব ধরনের অপরাধকে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। অপরাধিদের অপরাধ নির্মুলে আশুলিয়া থানা পুলিশের সুনামও রয়েছে যথেষ্ঠ । যেটা কখনো অস্বীকার করতে পারবে না আশুলিয়ার সাধারণ মানুষ। কিন্তু, বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে,রুহুল আমিন ও খলিল প্রকাশ্যে দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে চাঁদাবাজিতে দাপিয়ে বেড়ালেও কেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদেরকে ছুতেও পারছে না ? এদের খুঠির জোর কোথায় জানতে চায় সুশীল সমাজ ।

এ বিষয়ে ১৬ নভেম্বর (বুধবার) আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান সাহেবকে দুপুর ২.৫০ মিঃ মোবাইল ফোন নং-০১৭৩০১৬৫ ৮০৯ তে জানার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিকের কন্ঠ শোনার পর তার নিজের ফোনের লাইন কেটে দেয় ।

নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির কানো...

Read more

সর্বশেষ

ADVERTISEMENT

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত


সম্পাদক ও প্রকাশক : মাে:শফিকুল ইসলাম
সহ-সম্পাদক : এডভােকেট-মোঃ আবু জাফর সিকদার
প্রধান প্রতিবেদক: মোঃ জাকির সিকদার

কার্যালয় : হোল্ডিং নং ২৮৪, ভাদাইল, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৯

যোগাযোগ: +৮৮০ ১৯১ ১৬৩ ০৮১০
ই-মেইল : dailyamaderkhobor2018@gmail.com

দৈনিক আমাদের খবর বাংলাদেশের একটি বাংলা ভাষার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে দৈনিক আমাদের খবর, অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারিত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি একটি।

ADVERTISEMENT
x