বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউর, সালামসহ নাম না জানা অনেকে ভাষার জন্য প্রিয় প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছেন রাজপথ। প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের মুখের ভাষা বাংলার মান। ১৯৫২ সালের পলাশ-শিমুল ফোটার দিনে আত্মোৎসর্গ করা সেই সব ভাষা শহীদকে মঙ্গলবার বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে গোটা জাতি।
প্রভাতফেরিতে হাতে হাতে রক্তরঙা গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসিসহ দেশি-বিদেশি ফুল নিয়ে চেতনা, দ্রোহ আর শ্রদ্ধাবোধকে সঙ্গী করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যান স্মৃতির মিনারগুলোতে। সেই সঙ্গে জিয়ারত, মোনাজাত, প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেন তারা। এছাড়া এদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
আটষট্টি বছর আগের একুশই আমাদের জাতীয় জীবনে সব প্রেরণার উৎস। একুশের পথ ধরেই এসেছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। একুশের চেতনা ধারণ করেই উচ্চ আদালত, নির্বাচন কমিশন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দফতরসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে চালু হয়েছে বাংলা। তবে এখনও সব দফতরে চালু হয়নি মাতৃভাষা।
এখনও শুদ্ধ ও বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারেন না অনেকেই। তাই সর্বস্তরে ও জাতিসংঘে দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার সোচ্চার দাবি ছিল শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের কণ্ঠে। একুশের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
আশুলিয়া প্রেস ক্লাব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল শাহরিয়ার বাবুল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈম সরকার, অর্থ সম্পাদক রিপন মিয়া, মহিলা সম্পাদিকা মুনঞ্জিলা চৌধুরী আশা, কার্ষ্যনির্বাহী সদস্য, আঃ রশিদ, মোস্তাক আহমেদ, মেহেদী হাসান, নাহিদা আক্তার, স্পনা আক্তার সহ অনেকেই।