ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এর বড় প্রভাব পড়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ বোমার আঘাতে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার যেন ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে।
যুদ্ধের প্রভাবে প্রথমদিন বৃহস্পতিবার ১০৯ পয়েন্ট পতনের পর আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ১৬৩ পয়েন্ট হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক হারিয়েছে ৫০৬ পয়েন্ট।
রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধের কিছু প্রভাব বিশ্বে পড়লেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এর থেকে নিরাপদে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যুদ্ধ হয়তো দীর্ঘ মেয়াদী হবে না। ইউক্রেন আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলেও বিশ্ব শান্তির জন্য তারা শীঘ্রই আলোচনায় ফিরবে। কাজেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।
তারা বলছেন, এখন কম দরে শেয়ার ছাড়লে সেই শেয়ার আর পাওয়া যাবে না। কারণ যেকোনো সময়ে বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়বে।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ১৬৩.২৯ পয়েন্ট বা ২.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৭৬.১৪ পয়েন্টে।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩০.৫৭ পয়েন্ট বা ২.০৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭.০৭ পয়েন্ট বা ১.৮৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৫.১৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৬৭.৯০ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১৩৪ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫০ কোটি ২৮ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির বা ২.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩৬৫টির বা ৯৬.৩০ শতাংশের এবং ৪টি বা ১.০৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫০৬.১৮ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৮৫.৩৬ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ২৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দর। আজ সিএসইতে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।