ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ৫০০৯নং স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেন।
রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ রবিবার সকাল ১০ টায় দিকে তদন্ত কমিটির তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি। এখানে ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার এবং তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
এর আগে ছাত্রী নির্যাতনের নানা দিক খতিয়ে দেখতে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনায় বসে তদন্ত কমিটি। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের কক্ষে কমিটির সদস্যদের একত্রিত হওয়ার কথা থাকলেও, সেদিন তারা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার কক্ষে বসেন।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের একটি দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমরা সেটি পালন করেছি। ভিসির নিকট প্রতিবেদনটি পৌঁছানোর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর দিয়েছি। এখন পরবর্তী করনীয় তারা ঠিক করবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির সবার স্বাক্ষর সংবলিত ১১ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আরও বিভিন্ন নথি সংযুক্ত করে দেওয়া আছে। হলের অন্তত ২০ জন ছাত্রীর সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে কমিটির। প্রতিবেদনে সব বিষয় খতিয়ে দেখে শুধু যেটা ঘটেছে সেই মূল ঘটনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান আরো বলেন, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেবেন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী মিল্টন সিলগালা কপি সঙ্গে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।