আব্দুল আজিজঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে একটি সূত্রে নির্যাতনের সত্যতা বিষয়ে জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের রাতে ছাত্রলীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। নির্যাতনকারীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের শাস্তির সুপারিশের ব্যাপারে কথা কিছুই জানা যায়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্রে জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির সবার স্বাক্ষর সংবলিত ১১ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আরও বিভিন্ন নথি সংযুক্ত করে দেওয়া আছে। হলের অন্তত ২০ জন ছাত্রীর সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে কমিটির। প্রতিবেদনে সব বিষয় খতিয়ে দেখে শুধু যেটা ঘটেছে সেই মূল ঘটনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনের দুইটি কপি জমা পরেছে। একটি কপি রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আছে অন্যটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য নির্দেশনা দিলে কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে গতকাল রবিবার রাতে কেন্দ্র বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গঠিত তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে তদন্ত কাজ শেষ করেছে হল প্রশাসন সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ সোমবার দুপুরে হল এই তদন্ত কমিটি জমা দিবেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামসুল আলম।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন ওই ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দফতর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।
450
Shares
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন