বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, নীর্ভিক কলাম সৈনিক মাইনুল ইসলাম ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের মামা পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম (রউফ শেখ)।
তিনি বলেন সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম রনাঙ্গনের বীর সেনানি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী শেখের সুযোগ্য সন্তান।তিনি একটি ভয়ংকর প্রতারক চক্রের প্রতারনা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম (রউফ) আরো বলেন শুনেছি ভোলা চরফ্যাসনের একটি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্রের হোতা মাওলানা নেছার উদ্দিন জিহাদী,সাং- চর আইচা, ইউনিয়ন-চর মানিকা, পোঃ+থানা-দক্ষিন আইচা, আব্বাস উদ্দিন প্রধান শিক্ষক মাদারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিতা ঃজয়নাল আবেদিন সরদার, হালিমাবাদ ২ং ওয়ার্ড, আমিনাবাদ,চরফ্যাসন দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের কাছে ভোলা চরফ্যাশনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব
এর বিরুদ্ধে নিউজ করে দিতে বলেন এবং তার ছবিসহ তার বিরুদ্ধে একটি নিউজের লিংক মাইনুল ইসলামের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দিয়ে লিখেন কথা আছে কল করেন। আব্বাস উদ্দিন মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃওয়াদুদ মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মান হানি করার উদ্দ্যেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম কে অসাধুপায়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মাইনুল ইসলাম তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং সাফ জানিয়ে দেন তিনি স্বাধীনতার পক্ষের কোন ব্যক্তির নামে কোন প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন না।
তারপরও আব্বাস উদ্দিন ও তার সহযোগী নেছার উদ্দিন জিহাদী কিছু ভিত্তিহীন তথ্য প্রমাণ নিয়ে সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের আশুলিয়ার বাসায় একাধিকবার আসেন। তাতেও কাজ না হলে তারা ফিরে যায়। তারা ফিরে মাইনুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে হুমকি প্রদান সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখায়। এ ব্যাপারে মাইনুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন।
আর এভাবেই তাদের সাথে দন্দ্ব । আর তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারনেই জামায়াত শিবির চক্রটি সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম কে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন প্রতারনা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানি সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মান হানি করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম(রউফ শেখ) হুশিঁয়ারি দিয়ে বলেন রনাঙ্গনের বীর সেনানি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মাইনুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মামলা হতে অব্যাহতি দিতে হবে নয়তো বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে রক্ষার্থে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে রাজপথে মানব বন্ধন সহ অনশন কর্মসূচি পালন করবো, তিনি আরো বলেন সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত হাই ব্লাড প্রেসার,হার্টের রোগ ও কিডনি রোগের জটিলতায় ভুগছিলেন। আর সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম গ্রেফতার হবার পর তৎকালীন সময়ে চরফ্যাসন থানার তদন্ত ওসি মোরাদ হোসেন মাইনুল ইসলামের কাছে তার নিজ নামের ও তার স্ত্রীর নামের চেক লিখে দিতে বলেন।
মাইনুল ইসলাম চেক লিখে দিতে অস্বীকার করলে তদন্ত ওসি মোরাদ হোসেন মাইনুল ইসলামের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন এবং এক পর্যায়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন। মাইনুল ইসলাম তদন্ত ওসি মোরাদ হোসেনকে বলেন আমি এমপি জ্যাকবের বিরুদ্ধে নিউজ না লেখায় আমাকে ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মাইনুল ইসলাম বার বার তদন্ত ওসি মোরাদ হোসেনকে এই কথা জানালে মাইনুল ইসলামের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।তখন তদন্ত ওসি মোরাদ হোসেন,আব্বাস উদ্দিন ও নেয়ামত উল্লাহ বলে যদি আদালতে গিয়ে এই স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি না দেয় তাহলে একের পর এক ২০টি মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে।
এঘটনায় মাইনুল ইসলামের স্ত্রী আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগও করেন। মাইনুলকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও ভয়ভীতির কারনেই তিনি জেল হাজতে খুব মারাত্মক ভাবে ব্রেন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যান। মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত জেলে থাকায় তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বতর্মানে তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।তবে মাইনুল ইসলাম দীর্ঘ ১৪ মাস জেলে থাকার পরে বতর্মানে তিনি জামিনে আছেন।
মুক্তিযোদ্ধা আঃরউফ বলেনঃ এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সহ সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এই ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলাসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে এই বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাংবাদিক মাইনুল ইসলামকে অব্যাহতি প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
