রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা বকবান্দা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭৩ ইং সালে। তফসিল বর্ণিত ৯৯ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ জবরদখলে রাখছিলেন আব্দুল মান্নান নামের গংরা।
বকবান্দা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিবাদীপক্ষ যাহাতে নিম্ন (ক) তফসিল বর্ণিত (৯৯ শতাংশ) জমিতে অনধিকার প্রবেশক্রমে বেদখল বা জবরদখল করতে না পারে। এবং আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে না পারে তজ্জন্য বিবাদীগণের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেন বহুমুখী বিদ্যালয় পক্ষ।
বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান বিগত ১৯৭৩ ইং সালে স্থাপিত বকবান্দা মৌজায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ততকালীন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগন তাদের নিজ তফসিল ভুক্ত জমি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে দান করে দেন। বিদ্যালয় পক্ষ বলেন বিদ্যালয়ের দখলি জমির আর এস. ১৮ নং খতিয়ানে আর এস ৩.৪.৬.ও ৩৩ নং দাগে ৯৯ শতাংশ জমি রহিয়াছে। নালিশি ( ক ) তফসিল বর্নিত স্কুলের জমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভূমি দস্যুরা। ভূমি দস্যুরা হলেন আঃ মান্নান পিতা মৃত্যু মফিজউদ্দীন, আঃ রহিম বাদশাহ পিতা আঃ মান্নান,ফরিজ মিয়া পিতা মৃত্যু আঃ মজিদ সেখ, মফিজল হক, পিতা মৃত্যু ফয়েজ উদ্দিন, সর্বসাং উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা গ্রামে ।
৪০-৬২- আর এস খতিয়ান ভুক্ত বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের অপচেষ্টা অভিযোগ প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হই। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত বিবাদীগনের নামে ১৪৪ ধারা জারি করলেও আমলে নিচ্ছেন ভূমি দস্যুরা।
স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানায় বিবাদীগন অত্যন্ত দূর্দান্ত প্রকৃতির দাঙ্গাবাজ পরসম্পত্তিলোভী। অতর্কিতভাবে ওই জমি দখলে নিতে ভাড়াটিয়া লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বারবার বিদ্যালয়ের জমিতে হালচাষ করতে আসে। বাধা দিতে গেলে জীবন নাসের হুমকি প্রদর্শন করেছেন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ওই এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ওই জমি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে। এবিষয় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলা টিভির প্রতিনিধিকে জানান বিদ্যালয়ের জমি রক্ষা করতে গিয়ে কখন যেনো ভূমি দস্যুদের হাতে লাঞ্চিত হই। আমি সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্কুল কমিটির সভাপতি আবু তালেব অভিযোগ করে বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে কয়েকবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
জমি জবরদখলের বিষয় অভিযুক্ত ভূমি দস্যু আব্দুল মান্নান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন ৩০ বছর যাবৎ এই জমিতে হালচাষ করে আসছি এই জমি আমার।