গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর থানাধীন দুই নং ওয়ার্ড লোহাকৈর মোল্লাবাড়ি আর রহমান জামেমসজিদ ও বাউন্ডারি সহ বাসাবাড়ির গেইট ভাংচুরে মুল সহযোগিতাকারী হিসেবে অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্তাজউদ্দীনের বিরুদ্ধে।
রবিবার সন্ধায় মোল্লাবাড়ী আর রহমান জামেমসজিদ এর মোতোয়ালি মৃত আমিন উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোঃ আনিসুর রহমান ওরফে আনিস মোল্লা ৫০ সংবাদকর্মীদের কাছে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে উক্ত মসজিদ ভাংচুরের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমার মালিকানাধীন বসতবাড়ীর পাশে আমার চাচাতো ভাই তফিজ উদ্দিনএর বসতবাড়ি রয়েছে এবং আমার বাড়ির মুলগেইটের পাশে আমার নিজ সম্পত্তির দানকৃত একটি মসজিদ রয়েছে।
যেখানে প্রতিদিন অনেক মুসল্লী নামাজ পড়ে এবং যাওয়া আসা করে৷ মসজিদটি আমার বাড়ির গেইট বরাবর হওয়ায় অনেক সময় বাড়ির মহিলাদের হাঁটা-চলার সমস্যা হচ্ছিল, তাই আমি একটা বড় গেইট লাগিয়েছিলাম।
অন্যদিকে আমার চাচাতো ভাই তফিজ উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মারুফ দীর্ঘদিন ধরে আমার সায় সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছিল সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শত্রুতামি এবং কিছু মাদকাসক্ত লোকজন নিয়ে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল,
আমি চাদার টাকা না দেওয়ায় গত -১৩-০৩-২৩ ইং তারিখে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র আমার উপর সসন্ত্রাসী হামলা চালায়। এবং আমার মাথায় রামদা দিয়ে গুরুত্বর আঘাত করে। পরে আমি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যাহার মামলা নং–
এর আগে আমি তাদের অনেকবার স্থানীয় ভাবে বসার প্রস্তাব দিয়েছি কিন্তু তারা বসবে না বলে বারবার আমার এবং আমার পরিবারের উপর এরকম নেক্কারজনক হামলা করে তারা।
তারা কখনোই আমার পরিবারের ভালো চাইনি,তাই সেদিন তফিজ উদ্দিন ও দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্তাজ উদ্দীন সলাপরামর্শ করে, আমি তার বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি এমন ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে আসে এবং কাউন্সিল’র এর উপস্থিততে আমার বাড়ির গেইট ও প্রাচীসহ মসজিদের টিন ভাংচুর করে।
মসজিদ ভাংচুরের বিষয়ে এলাকাবাসী, চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মসজিদ ভাংগা কোন মুসলমানের কাজ না। এটা ইহুদিদের কাজ। এমন নেক্কারজনক কাজ কাশিমপুরে দ্বিতীয়বার ঘটেনি। আমরা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তবে সবচেয়ে বেশি দুঃখজনক বিষয় হলো ২৯শে মার্চ বিকাল ৪ টায় গাজীপুর সিটিকর্পোরেশন এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও ২ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মন্তাজউদ্দীনের উপস্থিতিতে বিনা নোটিশে মসজিদের একাংশ ও গৃহ প্রাচির ভাংচুর করা হয়েছে।
মসজিদ ভাংচুরের বিষয়ে জানতে গাজীপুর মহানগর দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মন্তাজ উদ্দীন’
বলেন মসজিদ ভাংগা পরেছে এটাতে আমিও দুঃখ প্রকাশ করতছি। তবে দরকার হলে নিজস্ব অর্থায়ানে মেরামত করে দেওয়া হবে।