দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলাকে বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়াহাওয়া বয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজিজুর রহমান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলায় ( কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার) বেশি প্রভাব ফেলবে। এসব জেলাকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে, শুক্রবার (১১ মে) সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘণীভূত হতে পারে।