চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো আধুনিক টেকনিক্যাল বেল্ট ও বডি ওর্ন ক্যামেরা। আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আরও এক ধাপ বাড়বে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকায় অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে।
২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ ও ‘টেকটিক্যাল বেল্ট’ সদস্যদের শরীরে অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি সংযুক্ত করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, (বিপিএম-সেবা)।
এসময় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ মহোদয় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশকে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮টি টেকনিক্যাল বেল্ট ও ১৮ টি বডিওর্ণ ক্যামেরা দিয়েছেন।
চৌকস পুলিশ সদস্যদের এই ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও বডিওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিভিন্ন অভিযানে পুলিশ সদস্যদের নামে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ করা হয়। যার কারনে পুলিশের অভিযান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
এই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে এমন বিতর্ক আর থাকবে না। এছাড়া অনেক সময় পুলিশের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বডিওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রম নজরদারি করা হবে।
পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম এতে রেকর্ড থাকবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ক্যামেরার সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), আনিসুজ্জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সকল অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআইও-১, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, টিআই (এডমিন), আরআই পুলিশ লাইন্সসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানা, ফাঁড়ী, তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ফোর্সবৃন্দসহ আরো অনেকে ।
প্রথম পর্যায়ে ১৮টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও টেকটিক্যাল বেল্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হলো। পর্যায়ক্রমে থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদেরও এসব উপকরণ দেওয়া হবে।