চুয়াডাঙ্গায় মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিপিএম সেবা মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতা সানজিদা আক্তার ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও ছোট্ট মেয়ে ফিরে পেল তার বাবার।
সোমবার (৬ই মে ২০২২) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয় দুইজনের মধ্যস্থায় আপোষে পুনরায় সংসার করার অঙ্গিকার কর।জানা গেছে,চুয়াডাঙ্গা’র দামুড়হুদা থানাধীন দলিয়ারপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম এর কন্যা মোছাঃ সানজিদা আক্তার (২৪), এর সাথে একই থানাধীন কলাবাড়ী গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ রবিউল হাসান (৩০) সাথে বিগত ০৪ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১টি কন্যা সন্তান জন্ম হয় মোছাঃ সুজনা আক্তার স্বর্ণা।
বিয়ের পর থেকে সানজিদা আক্তারকে তার স্বামী কারণে-অকারণে মারধর করত। সানজিদা আক্তার তার সন্তানের কথা চিন্তা করে সব কষ্ট সহ্য করতে থাকে। একপর্যায়ে রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন সানজিদা আক্তারের নিকট এক লক্ষ্য টাকা যৌতুক দাবী করেন।
সানজিদা আক্তার উক্ত যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার স্বামী রবিউল হোসেন সানজিদা আক্তারকে ও তার ভাই মোঃ সোহরাব হোসেন কে মারপিট করে।সানজিদা আক্তার তার স্বামী সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর মাধ্যমে সোমবার (০৬ মে ২০২২) উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম সেবা এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় সানজিদা আক্তার ও রবিউল ইসলাম সব বিবাদ ভুলে তাদের একমাত্র কন্যা সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়।
পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সানজিদা আক্তার ফিরে পেল তার সুখের সংসার, ছোট্ট শিশু স্বর্ণা ফিরো পেলো পিতৃস্নে।